চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত কোরআন অলিম্পিয়াড ও বই পাঠ প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনটির চবি শাখা।
অনুষ্ঠানে মাহে রমজান উপলক্ষ্যে কোরআন অলিম্পিয়াড এবং পলাশী দিবস উপলক্ষ্যে বইপাঠ প্রতিযোগিতায় ৬৫ জন বিজয়ী শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
শাখা শিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহ-সেক্রেটারি জেনারেল ও শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ (সাবেক এমপি)।
প্রধান আলোচক ছিলেন আরবি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, “আজ এই কুরআন অলিম্পিয়াড ও বইপাঠ প্রতিযোগিতা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যদি আমরা সত্যিকার অর্থে দেশ ও জাতির কল্যাণ চাই, তবে কুরআনের আলোকে গড়া নৈতিক নেতৃত্বই হতে পারে তার ভিত্তি। আমরা এমন একটি সমাজ চাই, যেখানে অন্যায়-অবিচার থাকবে না, শোষণহীন ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। ইসলামী আদর্শে গড়ে উঠা ছাত্রসমাজই পারে সে রাষ্ট্র বিনির্মাণের নেতৃত্ব দিতে।”
তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের দেশ নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ন্যায়, মানবিকতা ও আল্লাহভীতির ভিত্তিতে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনে পথপ্রদর্শক হবে।”
প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার বলেন, “পবিত্র কোরআনই সর্বশেষ আসমানি কিতাব, এরপর আর কোনো কিতাব আসবে না। সুতরাং কোরআন ব্যতীত আমাদের আর কোনো পথপ্রদর্শনকারী গ্রন্থ নেই। এই পৃথিবীতে যখন সত্য এসেছে, মিথ্যা-জুলুম বিতাড়িত হয়েছে। লক্ষ লোকের ফুৎকারে যেমন সূর্যের আলো ম্লান হয় না, তেমনি কোরআনের নুর ম্লান করার ক্ষমতা পৃথিবীর কোনো শক্তির নেই।”
শাখা শিবির সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, “ইসলামী ছাত্রশিবির জ্ঞানের প্রতিযোগিতা সবসময়ই জারি রেখেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি এ ধরনের আয়োজন না হয়, তাহলে জাতি পথ হারানোর দিকে অগ্রসর হবে। আমরা চাই, আমাদের ক্যাম্পাসের ভাই-বোনেরা নৈতিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক। কোরআনের নৈতিকতা নিয়ে যদি একজন শিক্ষার্থী নিজেকে গড়ে তুলতে পারে, তাহলে ভবিষ্যতে সে কখনো দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ হবে না।”