কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাবেক রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদারের বাধ্যতামূলক ছুটি স্থগিতের আদেশ প্রদান করেছেন উচ্চ আদালত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিজ পদে পুনরায় বসার আবেদন জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে মজিবুর রহমান।
জানা যায়, গত ৩ মার্চ ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে রেজিস্ট্রার পদে থাকা মো. মজিবুর রহমানকে আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ এনে বাধ্যতামূলক ছুটিতে প্রেরণ করা হয়। এ পদে নতুন দায়িত্ব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দেওয়া হয় গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে।
মজিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি কোনো আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম করেননি। যেহেতু হঠাৎ করে অফিস আদেশের মাধ্যমে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে প্রেরণ করা হয়েছে, সেই অফিস আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন তিনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত বাধ্যতামূলক ছুটির ওপর ৩ মাসের স্থিতির আদেশ জারি করেছেন।
এমনকি বুধবার (১৬ জুলাই) অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বরাবর আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) থেকে নিজ পদে যোগদানের আবেদন করেন তিনি।
মো. মজিবুর রহমান বলেন, “কর্তৃপক্ষ যেহেতু আমাকে এ রকম একটা আদেশ দিয়েছে, আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হই। আদালত সেই আদেশের ওপর ৩ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন এবং বাধ্যতামূলক ছুটি কেন অবৈধ হবে না এই মর্মে কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চেয়েছেন।”
তিনি বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী আমি আমার পদে আছি। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি যেন আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আমার যোগদানের প্রক্রিয়া করে দেয়।”
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা বর্তমান রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “চিঠি জমা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেহেতু ছুটি দিয়েছে এবং বিষয়টি যেহেতু এখন আদালতে গেছে, তাই বিশ্ববিদ্যালয় হয়ত আদালত ফেইস করবে। পাশাপাশি, তার যে আবেদন (যোগদানের আবেদন) আছে, সেটা নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নেবে।”
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তিনি (মজিবুর রহমান) জয়েনিং লেটার দিয়েছেন, এটা প্রক্রিয়াধীন। প্রক্রিয়া শেষ হলেই জয়েন করতে পারবেন।”
আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের ভিত্তিতে যে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে প্রেরণ করা হয়েছিল, এই ধরনের কিছু পেয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “এটা তদন্ত কমিটি বলতে পারবে। এখনো তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়নি। তবে আমরা তদন্ত কমিটিকে বলেছি তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে।”