ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে ছাত্রশিবিরের প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া উত্তেজনার মধ্যেও চলছে তাদের জুলাই প্রদর্শনী। তবে বিতর্কিত ছবিগুলো অপসারণ করে সেখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার উক্তি, বিচারকার্যের নানা অসঙ্গতি ও ভুয়া সাক্ষীর জবানবন্দির ছবি টানানো হয়েছে।
বুধবার (৬ আগষ্ট) প্রদর্শনীর পাশাপাশি পূর্বসুচী অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের এক বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন শিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন পুসাবের প্রতিনিধি সাদিক আল আরমান, জুলাই ঐক্যের সংগঠক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ প্রমুখ।
টিএসসি প্রাঙ্গণে যথারীতি চলমান শিবিরের প্রদর্শনীতে কেবল বিতর্ক সৃষ্টি করা জামায়াত ও বিএনপি নেতৃবৃন্দের ছবিগুলো সরানো হয়েছে। তার জায়গায় যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে ২০১১ সালে করা বেগম জিয়ার উক্তি, স্কাইপি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের ফিরিস্তি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ভুয়া সাক্ষীদের জবানবন্দির প্ল্যাকার্ড টানানো হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে শিবিরের প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল বাম সংগঠনগুলো। এ নিয়ে শিবির এবং বামপন্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ দেখা যায়।
তবে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে মবের কারণে প্রদর্শনী বন্ধ হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাবি শাখা শিবির সভাপতি এস এম ফরহাদ।
অন্যদিকে, প্রদর্শনীতে বিতর্কিত ছবি রাখায় শিবিরকে জবাবদিহিতা করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, “বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মিটিং করবে। শিবিরের কাছে এর কারণ জানতে চাওয়া হবে। তবে প্রদর্শনী বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”