ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম দিনে মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করেছে সাতজন প্রার্থী। ছাত্রী হিসেবে প্রথম ফরম সংগ্রহ করেছেন বাবলি আক্তার মনা।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ফরম বিতরণ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের অফিস থেকে প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছেন।
সর্বপ্রথম ফরম সংগ্রহ করেছেন বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী সজীব হোসেন, যিনি কেন্দ্রীয় সদস্য পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, মনোনয়ন ফরম বিতরণের প্রথম দিনে মোট সাতজন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এর মধ্যে দুইজন কেন্দ্রীয় ভিপি, একজন জিএস এবং বাকি চারজন কেন্দ্রীয় সদস্য পদের জন্য মনোনয়ন নিয়েছেন।
হল সংসদ নির্বাচনে প্রথম নারী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারী বাবলি আক্তার মনা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুর ১২টায় মনোনয়ন সংগ্রহ করেন।
মনোনয়ন সংগ্রহ নিয়ে তিনি বলেন, “আমি আজ প্রথম মনোনয়ন নিয়েছি। আমার কাছে অত্যন্ত আনন্দের যে, আমিই প্রথম মনোনয়ন নিতে পেরেছি। বিষয়টা একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল।”
তিনি আরো বলেন, “আমি হলের ভিপি পদপ্রার্থী। আমার হলের প্রধান সমস্যা হচ্ছে যাতায়াত। আরেকটা ক্যান্টিনের সমস্যা। আমি যদি হলের ভিপি হতে পারি, তাহলে নিশ্চয়ই যাতায়াত ব্যবস্থার বিষয়টা মাথায় রাখব। যাতায়াতের বিষয়টা আরো শিথিল করার চেষ্টা করব। আর ক্যান্টিন বিষয়ে আমি অলরেডি কাজ শুরু করেছি। আশা করি, ক্যান্টিনের গুণগত মান, খাবারের দাম এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ করব।”
হল সংসদের মনোনয়নপত্র সংশ্লিষ্ট হলের হল রিটার্নিং অফিসারগণের কাছ থেকে প্রার্থীকে সশরীরে সংগ্রহ ও দাখিল করতে হবে।
ডাকসু ও হল সংসদ আচরণ বিধিমালা ২০২৫ অনুযায়ী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের সময় কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না এবং পাঁচজনের বেশি সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ বা জমা দেওয়া যাবে না। প্রতিটি ডাকসুর মনোনয়ন ফরমের ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ এর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরো তালিকায় বহিষ্কৃত ও মামলায় অভিযুক্ত কোনো শিক্ষার্থীর নাম অন্তর্ভুক্ত থাকলে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া সাপেক্ষে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।