অস্থায়ী আবাসন নির্মাণ, জকসু প্রক্রিয়া তরান্বিতসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল। এর আগে, তারা উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) স্মারকলিপি প্রদান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় এসব দাবি নিয়ে তারা সংবাদ সম্মেলন করেন।
জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান হিমেলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুমন সর্দার, মোস্তাফিজ রহমান রুমি, রবিউল ইসলাম, শাহরিয়ার হোসেন প্রমুখ।
ছাত্রদলের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— অবিলম্বে আবাসিক ভাতা প্রদান করতে হবে এবং ১ জুলাই থেকে কার্যকর করে শিক্ষার্থীদের অবহিত করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব জমিতে আগামী ১ মাসের মধ্যে অস্থায়ী আবাসনের কাজ শুরু করতে হবে এবং অবশ্যই আগামী ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে; ছাত্রদলের আগের দেওয়া স্মারকলিপিতে ১ মাসের বেঁধে দেওয়া সময়ের ১০ দিন বাকি রয়েছে, এই ১০ দিনের মধ্যে আগের তালিকা অনুযায়ী ছাত্রলীগের শিক্ষার্থীদের ও নতুন প্রদত্ত তালিকা অনুযায়ী ফ্যাসিবাদের দোসর ৬৮ জন শিক্ষক ও ২৩ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাকি দুইটি দাবি হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; বিচারের পর স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জকসু প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে হবে।
এ বিষয়ে সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “কোনো ধরনের ব্যর্থতার দায় প্রশাসনকে যেন না নিতে হয়। আমরা কতগুলা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের বিগত ১৭ বছরে যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি করেছে, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বৈরাচারকে যারা প্রমোট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলেই জবি সুন্দর সুষ্ঠু শিক্ষার্থীবান্ধব হবে।”
আহ্বায়ক মেহেদি হাসান হিমেল বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় ছাত্রনেতারা নির্যাতিত হয়েছেন, আমিও বারবার আহত হয়েছি। ক্লাস করতে এসে হামলার শিকার হয়েছি। সেই হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, ফ্যাসিস্ট সরকারকে সহায়তায় করে ছাত্রলীগের দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রথম ধাপে আমরা এ অভিযোগ অভিযোগ দিয়েছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ৪২১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ২০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টর বরাবর স্মারকলিপি দেয় সংগঠনটি।