ক্যাম্পাস

শিক্ষক নিবন্ধনের বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষায় প্রথম কুবি ছাত্রী

সম্প্রতি প্রকাশিত ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সহকারী শিক্ষক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) স্কুল পর্যায়ের ফলাফলে সারাদেশে প্রথম হয়েছেন সাবরিনা ইয়াছমিন রিমি। ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৮ পেয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। 

সাবরিনা ইয়াছমিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাকে কুমিল্লা রেলওয়ে পাবলিক হাইস্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

তিনি চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার মাহবুবুর রশীদ পাটওয়ারী ও ফাতেমা আক্তারের কন্যা। দুই ভাইবোনের মধ্যে তিনিই বড়।

রিমি ২০১৩ সালে আল আমিন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক পাস করে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। 

এ অর্জনের গল্প শোনাতে গিয়ে তিনি বলেন, “গতানুগতিক উত্তর থেকে একটু ভিন্নভাবে প্রতিটা বিষয়ের প্রশ্নোত্তরগুলোকে সাজানোর জন্য আমি গাইড বই, বিভিন্ন ওয়েবসাইট, চ্যাটজিপিটি, ইউটিউব থেকে প্রচুর পরিমাণে সাহায্য নিয়েছি। প্রতিটা প্রশ্নোত্তরকে আমি তথ্যবহুল করে গোছানোর চেষ্টা করেছি। এছাড়া বিগত বছরের প্রশ্নগুলো অনেক ভালোভাবে বিশ্লেষণ করেছি।”

অন্য প্রতিযোগীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “শিক্ষক নিবন্ধন স্কুল পর্যায়ের (আইসিটি) সিলেবাস মোটামুটি সহজ। এতে ভালো ফলাফলের জন্য খুব আহামরি পরিশ্রম করতে হবে ব্যাপারটা এমন না। কেউ চাইলে রিটেনের জন্য দুই মাসের ভেতরে একটা ভালো প্রস্তুতি নিয়ে নিতে পারে, যদি একটু কৌশলী হয়ে পড়াশোনা করে।”

শিক্ষকতা পেশা সম্পর্কে তিনি বলেন, “কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারই হতে হবে, এটা আমি বিশ্বাস করি না। যেহেতু আইসিটির হাতেখড়িটা স্কুল কলেজ থেকেই শুরু হয়, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যেন এই বিষয়টির প্রতি ভীতি তৈরি না হয় বরং আগ্রহের সাথে তারা আইসিটির ক্লাসগুলো করে। তার জন্য অবশ্যই এখানে ভালো শিক্ষকের প্রয়োজন রয়েছে। আমি ভবিষ্যতেও এই পেশাতেই থাকতে চাই।”

সাফল্যের অনুভূতি জানিয়ে বলেন, “রিটেন পরীক্ষা অনেক ভালো দিয়েছিলাম, তারপরেও প্রথম হব, এটা কখনো ভাবিনি। রেজাল্ট পাওয়ার পর অবশ্যই অনুভূতিটা অন্যরকম ছিল। পরিবারের সবাই খুশি।”