রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তৃতীয় ও শেষ দিনের মতো চলছে মনোনয়ন বিতরণ।
এর আগে, রবিবার (২৪ আগস্ট) থেকে শুরু হয় রাকসুর মনোনয়ন বিতরণ কার্যক্রম। প্রথম দিনে বিভিন্ন পদে মনোনয়ন নেন পাঁচজন প্রার্থী। দ্বিতীয় দিন সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিভিন্ন পদে মনোনয়ন নেন ১০ জন প্রার্থী।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়ন বিতরণ। তফসিল অনুযায়ি বিকেল ৫টায় শেষ হবে তিন দিনব্যাপী এ মনোনয়ন বিতরণ কার্যক্রম।
সকাল থেকেই প্রার্থীরা দলে দলে এসে মনোনয়ন নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত মনোনয়ন নিয়েছেন ২৯ জন। এর মধ্যে, ভিপি পদে দুইজন, জিএস পদে তিনজন এছাড়া অন্যান্য পদে মনোনয়ন নিয়েছেন আরো ২৪ জন শিক্ষার্থী।
কেউ বন্ধুবান্ধব নিয়ে, কেউবা আসছেন স্ত্রী নিয়ে। এদের সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিয়েছেন। দুপুর ২টা পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের মনোনয়ন নিতে দেখা যায়নি।
জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে মনোনয়ন নেওয়া গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, “আজকের পরিবেশটা অনেক আমেজপূর্ণ তবে অনেকে এখনো মনোনয়ন নেননি। অনেকে দেখছি শোডাউন দিয়ে মনোনয়ন নিচ্ছেন। তবে আমি এই কালচার থেকে বেড়িয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিয়েছি। নির্বাচন নিয়ে আমি আশাবাদী। আমার কণ্ঠস্বর হবে সাধারণ শিক্ষার্থী।”
সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন নিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এস এম রিজন। তিনি বলেন, “আমার মনে হচ্ছে প্রশাসনের বেশ ঘাটতি আছ। কোনো ধরনের সেমিনার, লিফলেট, প্রচার নেই। এটা মনে হচ্ছে কোনো একটা ক্লাবের নির্বাচন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে একটা আমেজ তৈরি হবে, সেটার কোনো উদ্যোগ প্রশাসন নিচ্ছে না। তবে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন প্যানেল মিলে বেশ উৎসবমুখর একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, “আজ যারা ফর্ম তুলতে আসছে, তারা আমাদের অত্যন্ত আনন্দিত করছে। শিক্ষার্থীদের যে উৎসাহ, উদ্দীপনা, অংশগ্রহণ- সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। তারা ৩৫ বছর যে বঞ্চনার শিকার, তার একটা প্রতিফলন হতে যাচ্ছে। আমি আশা করি, অত্যন্ত সুন্দর একটা রাকসু আমাদের শিক্ষার্থীরা উপহার দেবে। আমরা তাদের অক্সিলারি ফোর্স হিসেবে সাহায্য করব।”