ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত ও শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাসহ ৯ দফা দাবিতে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় এসব দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, অবিলম্বে বাকসুর পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা করতে হবে এবং কথিত সিজির ভিত্তিতে গঠিত ছাত্রসমিতি বিলুপ্ত করতে হবে। এছাড়া পরীক্ষায় রোলবিহীন খাতা মূল্যায়ন ও খাতা চ্যালেঞ্জের সুযোগ নিশ্চিত, কারিকুলাম আধুনিকীকরণ, ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার সুযোগ, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল সীমিতকরণ ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা আরো দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার সেবার মানোন্নয়ন করে সেটিকে ২০ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল সেন্টার হিসেবে কার্যকর করতে হবে, হল ডাইনিংয়ে মানসম্মত খাবার সরবরাহে পর্যাপ্ত ভর্তুকি প্রদান, এক্সট্রা-কারিকুলার কার্যক্রমের মানোন্নয়ন, আবাসন সংকট নিরসন ও চলমান সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে।
তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘রিফর্ম বাউ, ফর স্টুডেন্ডস, ফর ফিউচার’ এই মন্ত্রে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতেই এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
এ সময় ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী রুপায়ন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক চর্চা করা আমাদের প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার। সেক্ষেত্রে দেখা যায়, আমরা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমরা চাই বাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের থেকে নেতৃত্ব তৈরি উঠে আসুক।”
তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি বিগত দিনের মতো ছাত্রদের মতামত উপেক্ষা করে সিলেকশন পদ্ধতিতে ছাত্র সমিতি ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে আমরা জুলাই আন্দোলনের পর নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি সেখানে আমদের প্রতিটি গণতান্ত্রিক চর্চা ব্যহত হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের ক্যাম্পাসে মেয়েদের আবাসন সংকট নিরসন ও ক্যাম্পাসে চলমান সংস্কার কাজ দ্রুত সময়ের ভিতর শেষ করতে হবে। আমাদের ৯ দফা দাবির সঙ্গে উপাচার্য স্যার একাত্মতা পোষণ করেছেন। আমরা বাকৃবির সব শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে দাবিগুলো পূরণ করবো। খুব শীঘ্রই আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ জানানো হবে।”
এ বিষয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে যে সংস্কার প্রস্তাবনা গুলো উত্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো সুন্দর ও মননশীল। কিছু কিছু জিনিস সংস্কারের জন্য বলছে তারা, সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ ও সুন্দর কথা বলেছে। তাদের প্রস্তাবনা গুলোর মধ্যে অনেকগুলো আমরা আংশিক ভাবে সম্পন্ন করেছি বা চলমান রয়েছে।”
তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন পরে হয়তো এ দাবিগুলো এসেছে। এক বছরের মধ্যে আমার কাছে আজই তারা প্রথম এসেছ। আমি তাদের কাগজ নিয়েছি প্রতিটা বিষয়ে কথা বলেছি। আমি বলছি যে আমাদের কর্তৃপক্ষ এবং আমরা এগুলো দেখব- কোনটা, কিভাবে, কি করা যায়। আমরা পজিটিভ ভাবে নিচ্ছি জিনিসগুলো।”