ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ থেকে সদস্য পদে লড়ছেন হেমা চাকমা। এর আগে তিনি ছিলেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটের সাংস্কৃতিক উপ-সম্পাদক।
সম্প্রতি তিনি ডাকসুতে ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেন। যদিও সমালোচনার মুখে পড়ে তিনি পোস্টটি পরে সরিয়ে নেন।
এদিকে, তার প্রোফাইল ঘুরে আরেকটি পোস্টে দেখা যায়, তিনি এক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বলছেন, “আমাকে ভোট না দিলে আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হেরে যাবে। এই কারণে যে, আমি সবসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌক্তিক আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম।”
কিন্তু তার ফেসবুক প্রোফাইল ঘুরে পাওয়া যায় পুরো ভিন্ন চিত্র। গত বছর ১৫ জুলাই যখন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা মিলে সন্ত্রাসী কায়দায় ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে, সেই রাতে তিনি তার ফেসবুক প্রোফাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরাঘুরির অবস্থার একটি ছবি আপলোড করেন। সেই ছবিতে তাকে তার দুই বান্ধবীর সঙ্গে খুবই হাসিখুশি ভঙ্গিতে দেখা গেছে।
গত বছর জুলাইয়ের ১৫ তারিখে হেমা চাকমার এমন পোস্ট ও ছাত্রলীগের উপ-সাংস্কৃতিক পদে থাকায় তাকে নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে নেট দুনিয়ায়।
হেমা চাকমাকে নিয়ে মোহাম্মদ শাহ নামে একজন লিখেছেন, “বাম মানেই ছাত্রলীগ পুনর্বাসন কেন্দ্র।” কাওসার আহমেদ সুজন নামে আরেকজন লিখেছেন, “ছাত্রলীগ হেমা চাকমাকে আইনের আওতায় আনা হোক।”
বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর হেমা চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি জানান, পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ডেকে প্রেস ব্রিফিং করে জানাবেন।