ক্যাম্পাস

রাবিতে দেরিতে হলে প্রবেশ করায় ৯১ ছাত্রীকে তলব, সমালোচনার পর প্রত্যাহার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জুলাই ৩৬ আবাসিক হলে রাত ১১টার পর প্রবেশ করায় ৯১ ছাত্রীকে হল প্রাধ্যক্ষের অফিসে ডেকে পাঠিয়ে নোটিশ দেয় এবং ওই ছাত্রীদের তালিকা নোটিশ বোর্ডে টানায় হল প্রশাসন। এ নিয়ে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হওয়ায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক লাভলী নাহার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নোটিশ প্রত্যাহারের বিষয়টি জানানো হয়।

এর আগে, সোমবার হল প্রশাসনের দেওয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, জুলাই ৩৬ হলের অনাবাসিক ও গণরুমের ছাত্রীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, দেরিতে (রাত ১১টার পর) হলে ফেরার কারণে নিম্নে উল্লেখিত ছাত্রীদের ক্রমিক নম্বর ১-৪৫ পর্যন্ত মঙ্গলবার এবং ক্রমিক নম্বর ৪৬-৯১ পর্যন্ত বুধবার বিকেল ৪টায় প্রাধ্যক্ষের অফিস কক্ষে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সামাজিক ও অধিকারভিত্তিক সংগঠন স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফাহির আমিন লিখেছেন, “জুলাই ৩৬ হলে রাত ১১টার পর ফেরা শিক্ষার্থীদের নাম তালিকা নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে এমন নির্দেশনা দিয়েছে হল প্রশাসন। বিষয়টা মানহানিকর বলে মনে করছেন অনেক নারী শিক্ষার্থী।”

নুসরাত ইসলাম নামের আইডি থেকে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ গ্রুপে লিখেছেন, “এদের মধ্যে কারও যদি কিছু হতো বা কারও সঙ্গে কোনো দুর্ঘটনা ঘটত, দায় আপনি নিতেন? এত উদার হওয়া ভালো নয়। মেয়েদের চলাচলে শালীনতা বজায় রাখাই উত্তম। কাজ শেষ হওয়ার পর নিরাপদ আবাসস্থলে সবাইকে ফেরা উচিত।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুলাই-২৬ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক লাভলী নাহার বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের ভালোর কথা চিন্তা করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এটা নিয়ে গতকাল থেকেই সমালোচনা হচ্ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সেই বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার করেছি।”

তিনি আরো বলেন, “তারা সবাই আমাদের সন্তানের মতো। তাদের খেয়াল রাখা আমাদের দায়িত্ব। নিরাপত্তার স্বার্থেই ছাত্রীদের ডাকা হয়েছে, এখানে অন্য কোনো কারণ নেই। তবে যারা একদিন দেরি করে এসেছে, তাদেরও তালিকায় রাখা হয়েছে, এটা ভুল হয়েছে। দেরি হতেই পারে, তবে সামনে রাকসু নির্বাচন ঘিরে যেন কোনো ধরনের বিপদ না হয়, সতর্কতা অবলম্বনের জন্যই তাদের ডাকা হয়েছে।”