ক্যাম্পাস

ক্যাম্পাস ও হল খোলার আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার বাকৃবি শিক্ষার্থীদের

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। ক্যাম্পাস ও হল খোলার আশ্বাস পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা আপাতত তাদের কর্মসূচি বিরত রেখেছেন। 

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সিন্ডিকেট সভায় ক্যাম্পাস ও হল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদীয় সম্মেলন কক্ষে আলোচনায় বসেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিবৃন্দ। এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। 

সাড়ে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা আলোচনা শেষে বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, “আমরা দীর্ঘসময় ধরে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেছি। তাদের প্রথম দাবি ছিল হল বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার এবং আরেকটি দাবি ছিল— আন্দোলনে জড়িত থাকায় তারা যেন হয়রানির শিকার না হয়।। আমরা তাদেরকে এই দুইটি বিষয়েই আশ্বস্ত করেছি। বুধবার সিন্ডিকেট সভায় হল খোলা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং আগামী সপ্তাহের মধ্যে ক্লাস পরীক্ষার শুরুর সিদ্ধান্ত আসবে। পাশাপাশি একাডেমিক কাউন্সিল থেকে যে সিদ্ধান্ত ছিল তিনটি ডিগ্রির প্রস্তাবনা করা হয়েছিল, সেটি নিয়েও শিক্ষার্থীদের সাথে স্বতঃস্ফূর্ত আলোচনা হয়েছে।” 

এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এহসানুল হক হিমেল বলেন, “স্যারদের সাথে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খুলে দেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি। বুধবার সিন্ডিকেট মিটিংয়ের মাধ্যমে হল বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার করা হবে এবং আগামী সাতদিনের মধ্যে ক্লাস পরীক্ষা শুরু হওয়ার ব্যাপারে স্যাররা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। সেজন্য আমরা বুধবার আমাদের আন্দোলনের কোনো কর্মসূচি রাখছি না। তবে একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে পরবর্তীতে আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে আমরা আবার আন্দোলনে ফিরে যাব।” 

আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী মো. শিবলী সাদী বলেন, “একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি, এ বিষয়ে সামনে আরো আলোচনা হবে। পরবর্তীতে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পাশাপাশি আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত কোনো শিক্ষার্থীকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কোন হয়রানির সম্মুখীন হতে হবে না বলে স্যাররা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। এই মর্মে আমরা প্রশানের একটি কাছে লিখিত বিবৃতি চেয়েছি।”