ক্যাম্পাস

ধর্ষণের হুমকি দেওয়া শিক্ষার্থীর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পায়নি তদন্ত কমিটি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তার ব্যাপারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠলেও তদন্ত কমিটি এর কোনো প্রমাণ পায়নি।

অভিযুক্ত আলী হুসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২০২১ সেশনের শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী বিএম ফাহমিদা আলম ডাকসুর অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদপ্রার্থী।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের তথ্যটি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ ও হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলী হুসেনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে গঠিত প্রক্টরিয়াল সত্যানুসন্ধান কমিটির সুপারিশের আলোকে তাকে বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। 

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলী হুসেনের পুরাতন কিছু ছবি এবং স্ট্যাটাস দিয়ে অনেকে তাকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও বাংলাদেশ জাতীয়বাদী ছাত্রদলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে অভিযোগ করেছিলেন। তবে তদন্ত কমিটি তার কোনো রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা পায়নি।

তার সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধমেই বেশি সময় কাটাতেন। গণমাধ্যমের নিউজ এডিট করে বিভিন্নজনকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক পোস্ট করতেন। 

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জানতে চাইলে সত্যানুসন্ধান তদন্ত কমিটির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মিসেস শেহরীন আমিন ভূঁইয়া বলেন, “আলী হোসেন কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে আমরা প্রমাণ পায়নি। সে নিজেও স্বীকারোক্তিতে বলেছে, তার কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই। এর বাইরে এমন কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি, যা দিয়ে তাকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে মনে হয়।”

তিনি আরো বলেন, “আলী হোসেনের দু-একটি ছবি, যেগুলো দিয়ে তাকে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট বলে অভিযোগ করা হয়। সেসব ছবি নিয়ে সে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এছাড়া কুরুচিপূর্ণ স্টাটাসটি আকস্মিক ক্ষোভে দিয়ে ফেলেছেন বলে তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন।”