রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচনের মনোনয়ন বিতরণ শেষ হয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) মনোনয়ন বিতরণ কার্যক্রম শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩টা পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ৩৮২ জন, সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি পদে ৮৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ১৪ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে আটজন, সহকারী সাধারণ সম্পাদক পদে (এজিএস) ১০ জন।
এছাড়া পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে ১২জন মনোনয়ন নিয়েছেন। ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক আটজন, সহকারী ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক তিনজন, সংস্কৃতি-বিষয়ক সম্পাদক পাঁচজন, সহকারী সংস্কৃতি-বিষয়ক সম্পাদক ছয়জন, মহিলা-বিষয়ক সম্পাদক পাঁচজন, সহকারী মহিলা-বিষয়ক সম্পাদক চারজন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক নয়জন, সহকারী তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চারজন, মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক ছয়জন, সহকারী মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক চারজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক তিনজন সহকারী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ছয়জন, বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক তিনজন, সহকারী বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পাঁচজন, সহকারী পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ১১ জন এবং চারটি নির্বাহী সদস্য পদে মোট ৫১ জন।
রাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন প্যানেল থেকেও মনোনয়ন নিয়েছেন। প্যানেল অনুযায়ী গণ ছাত্রজোট প্যানেলে ২৩ জন, ছাত্রদলের প্যানেলে ২৬ জন, সচেতন শিক্ষার্থী পরিষদ প্যানেলে ১৫ জন, ছাত্রশিবিরের প্যানেলে ২১ জন, নাজমুস সাকিব প্যানেলে ছয়জন, আফরিন জাহান প্যানেলে ২৩ জন, তৌহিদুল ইসলাম প্যানেলে সাতজন, আধিপত্যবাদ বিরোধী ঐক্য প্যানেলে ২১ জন, অপরাজেয় ৭১ জাগ্রত প্যানেলে ১৩ জন, পদ উল্লেখ ব্যতীত নয়জনসহ মোট ১৯৯ জন মনোনয়নপত্র নেন।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, “মনোনয়নের কার্যক্রম আজ শেষ হলো। মনোনয়ন বিতরণের সময় বাড়ানোর আর কোনো সুযোগ নেই। তবে যারা আজ প্রার্থী হলেন তারা কালকেও ডোপ টেস্ট করতে পারবেন। পরেরদিন তাদের রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে।”
বারবার তারিখ পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা তো আর ইচ্ছা করে বারবার তারিখ পরিবর্তন করিনি। এটা শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য করা হয়েছে। আমরা মোটামুটি শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছি। তারা এখন খুব খুশি।”