ক্যাম্পাস

ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপসহ অক্সফোর্ডে পিএইচডির সুযোগ জাবি ছাত্রীর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সামিয়া ইসলাম আনিকা বিশ্বের অন্যতম সেরা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপে পিএইচডি করার সুযোগ পেয়েছেন।

মর্যাদাপূর্ণ ক্ল্যারেনডন ফান্ড স্কলারশিপের আওতায় আগামী ৫ বছর তাকে টিউশন ফি ও জীবনযাপনের খরচ বাবদ প্রতি বছর প্রায় ৫১ হাজার ৮০০ পাউন্ড অর্থ প্রদান করা হবে।

সামিয়া ইসলাম আনিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৪৮তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। সামিয়া অনার্সে ৩.৯২ সিজিপিএ নিয়ে বিভাগ ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদে প্রথম স্থান অর্জন করেন। মাস্টার্সে তার সিজিপিএ ছিল ৩.৯১। পাশাপাশি জিআরই পরীক্ষায় তিনি ৩৩১ (কোয়ান্ট ১৭০/১৭০) এবং আইইএলটিএস-এ ৮.৫ স্কোর করেন।

শুধু ক্লাসরুমেই নয়, গবেষণাতেও সমান মনোযোগী ছিলেন সামিয়া। ইউজিসির একটি প্রকল্পে কৃষকদের জৈব সার ব্যবহারের আচরণ নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া আইসিটি বিভাগের ‘হার পাওয়ার প্রোজেক্ট’ এবং সমবায় অধিদপ্তরের নারীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পেও ছিলেন গবেষণা সহকারী। সানেমে (SANEM) কাজ করেছেন তরুণদের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা, এসএমই খাত, উৎপাদনশিল্প ও জেন্ডার বাজেটিং নিয়ে।

কেবল পড়াশোনা বা গবেষণা নয়, সহশিক্ষা কার্যক্রমেও সক্রিয় ছিলেন সামিয়া। অর্থনীতি শিক্ষার্থী সংসদের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক এবং জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং অর্গানাইজেশনের (জুডো) সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

অক্সফোর্ডে সুযোগ পাওয়া প্রসঙ্গে সামিয়া নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “এই সুযোগ আমার কাছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। ভেবেছিলাম আগে বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করে পরে হয়তো টপ-টেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার চেষ্টা করব। কিন্তু অক্সফোর্ডের অফার প্রত্যাশার আগেই এল। এজন্য আমি আমার বিভাগ, শিক্ষক ও সহপাঠীদের কাছে কৃতজ্ঞ।”

তিনি বলেন, “ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য দ্রুত মাস্টার্সের ফলাফল প্রকাশ দরকার ছিল। এ সময়ে শিক্ষকদের অতিরিক্ত পরিশ্রম ও সহপাঠীদের সহযোগিতায় সময়মতো ফল পাওয়া সম্ভব হয়। শিক্ষকরা শুধু পড়াশোনা নয়, ব্যর্থতাকে সামলাতে শিখিয়েছেন। তারা সবসময় পাশে থেকেছেন। তাদের ঋণ শোধ করার মতো নয়।”