ক্যাম্পাস

গকসু নির্বাচনে পিছিয়ে নেই নারীরা

গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনের ইতিহাসে নারীদের অংশগ্রহণ বরাবরই নজরকাড়া।

২০১৩ সালে প্রথম সংসদে সহ-সাহিত্য ও ম্যাগাজিন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন জিনাত রেহানা, নাট্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন হাফিজা খান লীনা। সেমিনার ও বিতর্ক সম্পাদক পদে মাহমুদা বেগম এবং সহ-সেমিনার ও বিতর্ক সম্পাদক পদে লিনা নার্গিস নির্বাচিত হন।

সেই সময় ভিপি পদে ছিলেন এমবিবিএস ব্যাচের মিশু। পরবর্তী নির্বাচনে আইন বিভাগের কণিকা, এমবিবিএসের নুসরাত জাহান টুম্পা ও ফার্মেসির খাদিজাতুত তাহিয়া সেতু নারীদের নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন।

দীর্ঘ ৭ বছরের বিরতির পর এবারের গকসু নির্বাচন ২০২৫–এ নারী প্রার্থীরা আবারো সরব। সাধারণ সম্পাদক পদে আফসানা মিমি বলেন, “আমি নারী হলেও শুধু মেয়েদের প্রতিনিধি নই। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার সমস্যা আমি শুনতে চাই। আমরা চুপ করে বসে থাকব না।”

তিনি অগ্রাধিকার দিচ্ছেন- লাইব্রেরি ও ল্যাব উন্নয়ন, সিসিটিভি স্থাপন, র‍্যাগিংবিরোধী জিরো টলারেন্স ও সাংস্কৃতিক ক্লাব শক্তিশালীকরণ।

দপ্তর সম্পাদক পদে শারমিন আক্তার শিক্ষার্থীবান্ধব ও স্বচ্ছ নেতৃত্বের লক্ষ্যে কাজ করতে চান। সহ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে লীশা চাকমা সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে আগ্রহী। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মেঘলা আক্তার ইতিবাচক প্রচারণা ও শিক্ষার্থীদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদেও নারী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন মিনতুজ আক্তার মিম (আইন), খুরশিদ জাহান (ইইই), মেহেরুন খিলজী মিতু (সিএসই), সানজিদা আক্তার জেবা (কৃষি), সারফুন নাহার স্বর্ণা (ফলিত গণিত) ও নাশরুন সেঁজুতি অরণি (মাইক্রোবায়োলজি)।

নারী প্রার্থীরা বলছেন, পুরুষকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, অনলাইন ও সরাসরি বিদ্রুপ-সমালোচনা, বেনামি হয়রানি এবং প্রচারণার খরচ তাদের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ। তবু আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ়তার সঙ্গে তারা ভোটারদের সামনে নিজেদের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করছেন।

বাংলা বিভাগের প্রভাষক নূর-ই তাহরিমা বলেন, “নারী প্রার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ক্যাম্পাস রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত। তারা নিরাপত্তা, স্যানিটেশন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও মানসিক স্বাস্থ্যসহ উপেক্ষিত বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসবে। এতে কার্যক্রম আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানবিক হবে।”