ক্যাম্পাস

কুবিতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ২ 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) চলমান আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মার্কেটিং ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মধ্যকার ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে দ্বিতীয়ার্ধের ১২ মিনিটের মাথায় এ ঘটনা ঘটে।

সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে মাঠে নামে মার্কেটিং ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। খেলার শুরু থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে রেফারি ও ক্রীড়া কমিটি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে খেলা পুনরায় শুরু করে।

পরে শূন্য গোলের সমতা নিয়ে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দ্বিতীয়ার্ধের ১২ মিনিটের মাথায় মাঠে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে দুই দলের খেলোয়াড়রা। 

একপর্যায়ে দর্শকসারি থেকে মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাফায়াত রহমান মাঠে প্রবেশ করে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের গোলরক্ষক হাসমত আলীকে আক্রমণ করে মারধর শুরু করেন। পরবর্তীতে দুই বিভাগের খেলোয়াড় এবং দর্শক সারিতে থাকা শিক্ষার্থীরা মাঠে প্রবেশ করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

এতে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দুইজন খেলোয়াড় আহত হন। আহতরা হলেন- প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাসমত আলী এবং ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের বরকত উল্লাহ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় খেলা বন্ধ করে দেন রেফারি। পরে ক্রীড়া কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে ম্যাচটি স্থগিতের ঘোষণা দেয়।

এ বিষয়ে ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, “টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, দর্শক যাতে মাঠে প্রবেশ না করে। আজ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এবং মার্কেটিং বিভাগের ম্যাচে একজন বহিরাগত মাঠে প্রবেশ করে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের একজন খেলোয়াড়কে মারা শুরু করলে দুই দলের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজকে ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে এবং কমিটির সঙ্গে কথা বলে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেব।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম বলেন, “আজকের খেলায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ কিংবা ক্রীড়া কমিটি আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।”

তিনি বলেন, “ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি সভা করেছি। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল, খেলার সব সিদ্ধান্ত ক্রীড়া কমিটিই গ্রহণ করবে।”