ক্যাম্পাস

ভূমিকম্প: শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ২ সপ্তাহ বন্ধ ঢাবি, হল ছাড়ার নির্দেশ

আগামী দুই সপ্তাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম।

এদিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে আগামীকাল রবিবার বিকেল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ।

শনিবার (২২ নভেম্বর) ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ঢাবি বন্ধের বিষয়টি জানান ভিপি।

ফেসবুকে ভিপি সাদিক কায়েম লেখেন, “পরপর দুইদিন ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসমূহের কথা মাথায় রেখে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কনসার্নগুলো আমরা মাননীয় ভিসি, প্রোভিসি, ট্রেজারার স্যারদের অবগত করি।”

তিনি আরো লেখেন, “এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জরুরি SMT এবং সিন্ডিকেট মিটিং আহ্বান করেন। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে মিটিংয়ে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সকল হলের প্রতিটি কক্ষে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

“শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ভূমিকম্প পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে এই সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে,” যোগ করেন সাদিক।

এদিকে, ভূমিকম্প পরবর্তী সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জরুরি সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করেন।

সভা শেষে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। হলগুলো পুরোনো অবস্থায় আছে, এই হলগুলোর প্রতিটি রুমের ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ ও সংস্কার করা প্রয়োজন।”

তিনি বলেন, “পর্যবেক্ষণ ও সংস্কারের জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের ভাষ্যমতে চার সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছে। এর মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে সংস্কার করতে বলেছে। এজন্য সব হল খালি করা প্রয়োজন। এই দুই সপ্তাহ ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। আগামীকাল রবিবার বিকেল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল খালি করার নিদের্শনা দেওয়া হলো।” 

তিনি আরো বলেন, “যেহেতু তাদের রুম পর্যবেক্ষণ করতে হবে, সেহেতু হল খালি করার সময় শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট হল প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের কাছে চাবি গচ্ছিত রাখতে বলা হলো। একইসঙ্গে রুমের মূল্যবান জিনিস সরিয়ে নিতে বলা হলো।”

খুব দ্রুতই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানান প্রক্টর।