ইউকে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের দ্য আর্থ ইকো লিডারস প্রোগ্রামের আওতায় প্রাপ্ত প্রি শেড ফান্ডিং- এর সহায়তায় ‘বর্ডার লেস’ প্রজেক্টের উদ্যোগে ৩০ জন যুব ও নারী গ্রিন উদ্যোক্তাকে নিয়ে দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের সম্মেলন কক্ষে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগকে শক্তিশালী করা লক্ষ্যেই এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা নেতৃত্ব, দলগত ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল লিটারেসি ও সবুজ উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করেন। অভিজ্ঞ ট্রেইনারদের হাতে-কলমে সেশন পুরো আয়োজনকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে।
প্রজেক্ট লিডার ফাহিম হিমেল বলেন, ‘‘তরুণদের পরিবেশবান্ধব উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই প্রশিক্ষণ তাদের নতুন উদ্ভাবনী উদ্যোগ নেওয়ার সাহস দেবে।’’
প্রজেক্ট ম্যানেজার আশা আক্তার বলেন, “স্থানীয় পর্যায়ে গ্রীন উদ্যোগ টিকিয়ে রাখতে দক্ষতা উন্নয়ন জরুরি। অংশগ্রহণকারীদের আগ্রহ আমাদের আরো উৎসাহিত করেছে।”
প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সাদিয়া জামান আরশি বলেন, “পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি গড়ে তুলতে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। ভবিষ্যতে আরো উন্নত সেশন যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
ব্র্যাক উপজেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, “সবুজ উদ্যোক্তা তৈরিতে এ ধরনের আয়োজনে অংশ নেওয়া তরুণদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। টেকসই উন্নয়নে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়।”
গ্রীন কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাকেরা বানু বলেন, “নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ উৎসাহব্যঞ্জক। তারা পরিবেশবান্ধব ব্যবসা মডেল নিয়ে কাজ করলে স্থানীয় অর্থনীতি ও পরিবেশ দুটিই উপকৃত হবে।”
এক নারী উদ্যোক্তা বলেন, “নেতৃত্ব ও দল পরিচালনা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা পেয়েছি। নিজের উদ্যোগকে আরো পেশাদারভাবে এগিয়ে নিতে পারব।”
এক যুব অংশগ্রহণকারী বলেন, “ডিজিটাল লিটারেসি ও গ্রীন বিজনেস মডেলের সেশনগুলো আমার ভবিষ্যৎ উদ্যোগ পরিকল্পনায় নতুন দিশা দেবে।”
পরিবেশবান্ধব উদ্যোক্তা গোষ্ঠী গড়ে তুলতে বর্ডারলেস প্রজেক্ট ভবিষ্যতেও আরো প্রশিক্ষণ, নেটওয়ার্কিং ও ফলোআপ প্রোগ্রাম আয়োজন করবে। সবুজ উন্নয়ন ও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে তরুণদের সম্পৃক্ততা আরো বাড়ুক এমন প্রত্যাশা আয়োজকদের।