জাপানের ইউনিভার্সিটি অব ইয়ামানাশিতে সম্পূর্ণ অর্থায়নে স্নাতকোত্তর ও গবেষণার সুযোগ পাচ্ছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)-এর আওতায় জাপানের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় (MEXT)-এর স্পেশাল রিকমেন্ডেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে ২০২৬ সালের অক্টোবর ইনটেকের জন্য এ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
এই কর্মসূচির আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে সম্পূর্ণ অর্থায়নে অধ্যয়নের সুযোগ পাবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে।
এ উপলক্ষে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি লেকচার থিয়েটারে একটি ব্রিফিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, “জাপানের মতো প্রযুক্তি ও গবেষণায় অগ্রসর দেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়নে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নের সুযোগ খুবি শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের জ্ঞান চর্চা, গবেষণা এবং আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা অর্জনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।“
তিনি এ উদ্যোগের সূচনাকারী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ শামীম আহসানকে ধন্যবাদ জানান এবং শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ব্রিফিং সেশনে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ইয়ামানাশির ভাইস-প্রেসিডেন্ট (একাডেমিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন) প্রফেসর হানাওয়া মাসানোরি। তিনি আবেদন প্রক্রিয়া, যোগ্যতা, গবেষণার সুযোগ, স্কলারশিপ সুবিধা এবং জাপানে শিক্ষাজীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব ইয়ামানাশির ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রফেসর হানাওয়া মাসানোরিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। সেশনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘দ্য অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের’ পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আশিক উর রহমান।