ক্যাম্পাস

ঢাবিতে বিজয় দিবস স্মরণে ছাত্রদল নেতার ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ

বাঙালির চির গৌরবের দিন মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম বার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচি পালন করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারিক।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রধান ফটকে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ স্লোগান সম্বলিত ডিজিটাল প্রাচীর ঘড়ি এবং একই হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিত হল ক্যান্টিনের পাশে বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার স্থাপন করেন হলের সাবেক শিক্ষার্থী, হল শাখা ছাত্রদলের সাবেক নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক তারিক।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রদলের সদস্য সচিব সৈয়দ ইয়ানাথ ইসলাম ও হল সংসদের সমাজসেবা সম্পাদক মোজাম্মেল হকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

এ সময় হল শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সাকিব হোসেন, যুগ্ম-আহ্ববায়ক শামীম বিন রফিক, সবুজ আহমেদ, সদস্য মাহিন, নাঈম, সুলতান, কর্মী মাহফুজ আলী, শাকিল, রাদিল, আহারাফ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন, আবুল কাসেম প্রধান, রকিবুল হাসান, জুল হোসেন, সদস্য সাব্বির আহম্মেদ, কর্মী শাহ আলম, তানভীর হোসেন, শেখ মুজিবুর রহমান হলের সদস্য সিয়াম রহমান, তাহমিদ হুমায়ুন তানিম, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের সদস্য সাখাওয়াত আনসারী সৈকতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে আড্ডারত সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে লাল গোলাপ দিয়ে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান ছাত্রদল নেতারা। এ সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) নিজ হাতে লেখা ‘একটি জাতির জন্ম’ শীর্ষক প্রবন্ধটি বিতরণ করেন।

এ প্রসঙ্গে ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম তারিক বলেন, “মূলত দূর থেকে যে কেউ যাতে সময় দেখতে পারে সেজন্য ডিজিটাল ঘড়ি স্থাপন করেছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ছিল হলের প্রবেশ পথে এমন কিছু থাকুক; যা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং মানুষের উপকারে আসে। হলের শিক্ষার্থীদের সুপেয় পানির জন্য হল ক্যান্টিনের পাশে একটি ইলেক্ট্রিক পানির ফিল্টার স্থাপন করেছি। এর মাধ্যমে যাতে শিক্ষার্থী বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারেন সেটাই আমার কাছে মুখ্য। কারণ, আমিও এই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলাম। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পেটোয়া বাহিনী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নিষ্ঠুর নির্যাতনে হলে থাকতে পারিনি।”