খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের দুইদিন ব্যাপী ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দেশের ৪টি কেন্দ্রে একযোগে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বেলা ১১টা ৪০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত স্থাপত্য স্কুলে আবেদনকারীদের জন্য মুক্ত হস্ত অঙ্কন পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় মোট ৩৮ হাজার ৯৬১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিতির হার ছিল ৯২ শতাংশ।
একই দিনে বিকাল ৩টা থেকে ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ‘বি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান স্কুল) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ইউনিটের পরীক্ষাও খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৮ হাজার ৯৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯২ শতাংশ পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
পরীক্ষার সময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ স্থানীয় কেন্দ্রগুলোর কন্ট্রোল রুম ও পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। এ সময় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী, বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আশরাফুল আলম, জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম হোসেন এবং ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত উপস্থিত ছিলেন। তারা সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় দায়িত্বরত ইউনিট প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।
পরীক্ষা শুরুর পর উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থানরত অভিবাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি বলেন, “পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে এ বছর খুলনার পাশাপাশি ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রামে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
এদিকে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইদিন ব্যাপী ভর্তি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ায় উপাচার্য পরীক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষকমণ্ডলী, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, বহিঃকেন্দ্রসমূহের কর্তৃপক্ষ, খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি), জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিদ্যুৎ বিভাগ, ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি ও এলাকাবাসীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।