বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯

যে কারণে বিশ্বকাপে নেই রিজার্ভ ডে

ক্রীড়া ডেস্ক : বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বৃষ্টির বাগড়া চলছেই। তাতে পণ্ড হওয়া ম্যাচের সংখ্যাও গাণিতিক হারে বেড়েই চলছে। ইতিমধ্যে বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়া ম্যাচের সংখ্যার দিক দিয়ে রেকর্ড গড়েছে এবারের বিশ্বকাপ। ১৯৯২ ও ২০০৩ বিশ্বকাপে রেকর্ড ২টি ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হয়েছিল। আর এবার গেল মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ পণ্ড হয়েছে (পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা, উইন্ডিজ-দ.আফ্রিকা ও বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা) । আজকের ভারত-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচও পণ্ড হওয়ার পথে রয়েছে। ভারত-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচের ভাগ্য এখন বৃষ্টির হাতে ন্যাস্ত। আর আগের তিনটি ম্যাচে বৃষ্টিরই জয় হয়েছে। পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে দলগুলোকে। সেই পয়েন্ট ভাগাভাগিতে কেউ কেউ সুবিধা পেলেও কারো কারো কপালে ভাজ পড়েছে। শঙ্কা জেগেছে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়ার। অথচ ম্যাচটি রিজার্ভ ডেতে হলে ফেবারিট দলগুলোর জন্য ফল ভিন্নও হতে পারত। এমন সময়ে প্রশ্ন উঠেছে আইসিসি বিশ্বকাপের মতো বড় একটি ইভেন্টে কেন রিজার্ভ ডে রাখলো না সেটা নিয়ে? বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস, শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে রিজার্ভ ডে না রাখায় বেশ হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা আইসিসিকে এক হাতও নিয়েছেন। অবশ্য রিজার্ভ ডে না রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করে একটি বার্তা দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। তাদের মতে, কয়েকটি বিশেষ কারণে লিগ পর্বের ম্যাচে রিজার্ভ ডে রাখেনি তারা। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয়টি হললিগ পর্বে প্রতিটি ম্যাচের জন্য রিজার্ভ ডে রাখা হলে টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্য অনেক বেড়ে যেত। আর সে অনুযায়ী সব কিছু ম্যানেজ করাটাও কঠিন হয়ে যেত।

 

এ বিষয়ে আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন বলেন, ‘লিগ পর্বে রিজার্ভ ডে রাখলে টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্য অনেক বেড়ে যেত। পাশাপাশি সবকিছু ম্যানেজ করাটা কঠিন হয়ে যেত। টুর্নামেন্টের জটিলতা বাড়ত। প্রভাব পড়ত পিচ তৈরিতে, দলগুলোর বিশ্রাম, আবাসন ও ভেন্যু প্রস্তুতিতে। পাশাপাশি প্রভাব পড়ত টুর্নামেন্টের স্টাফিং, স্বেচ্ছাসেবক প্রাপ্তি, ম্যাচ অফিসিয়ালদের সহজলভ্যতা ও ব্রডকাস্ট মিডিয়ার লজিস্টিক সাপোর্টে।’ ‘সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ত দর্শকদের উপর। যারা লম্বা সময় ভ্রমণ করে একটি ম্যাচ দেখতে নির্দিষ্ট ভেন্যুতে আসে। রিজার্ভ ডে রাখা হলে তাদের ভোগান্তি বাড়তো। তার উপর এটারও কোনো নিশ্চয়তা নেই যে রিজার্ভ ডেতেও বৃষ্টি হবে না।সম্প্রচার কার্য থেকে শুরু করে একটি ম্যাচ আয়োজনের পেছনে ১২০০ লোক থাকে। গ্রুপ পর্বে রিজার্ভ  ডে রাখার মানে হচ্ছে স্টাফদের সংখ্যা বাড়ানো। সেজন্য আমরা নকআউট পর্ব থেকে রিজার্ভ ডে রেখেছি।’ যোগ করেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের এই মৌসুমে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে মাত্র ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু গেল ২৪ ঘণ্টায়ই এবার সেখানে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে আইসিসি। সেক্ষেত্রে আবহাওয়ার রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ জুন ২০১৯/আমিনুল