ঢাকা সিটি নির্বাচন-২০২০

নিজে গিয়ে কেন্দ্র দখলমুক্ত করছেন ইশরাক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়া, ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা, কেন্দ্র দখল করে রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগ শুনে সেসব কেন্দ্রে ছুটে যাচ্ছেন বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

শনিবার বেলা ১টা পর্যন্ত তিনি আটটি কেন্দ্র ঘুরেছেন। সবগুলো কেন্দ্রে তিনি যাওয়ার পর বিএনপির সমর্থক ও নেতাকর্মীরা তার কাছে ছুটে আসেন। তারা অভিযোগ করেন যে, ভোট দিতে দেয়া হচ্ছে না। কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। ভিতরে এজেন্ট নেই। অন্যরা তাদের ভোট দিচ্ছেন।

এ সময় ইশরাক হোসেন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধান করেন। কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া এজেন্টদের তিনি ভিতরে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।

স্বামীবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্ট বের করে দেয়া হয়। সে সময় ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়া দেয়া হচ্ছিল। পরে ইশরাকের উপস্থিতিতে ভোট দিতে আসেন ভোটাররা।

এই কেন্দ্রসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের হয়রানি করার তথ্য পাওয়া গেছে।

কয়েকজন ভোটার অভিযোগ করেন, যখন তারা ভোট দিতে ভিতরে প্রবেশ করেন, তখন তাদের ‘এ কক্ষ না সে কক্ষে’ বলে বারবার ঘোরানো হয়।

স্বামীবাগ কেন্দ্রে ভোটাররা ইশরাক হোসেনের কাছে অভিযোগ করেন, এক ব্যক্তি গোপন কক্ষে অবস্থান করে সবার ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। পরে সাংবাদিকদের সামনে ইশরাক হোসেন সেই ব্যক্তিকে কাজ না করার আহ্বান জানান। অভিযুক্ত ব‌্যক্তি প্রতিশ্রুতি দেন যে, পরবর্তীতে তিনি আর এ ধরনের কোনো কাজ করবেন না।

পরে সেখান থেকে তিনি করাতিটোলা সিএমএস মেমোরিয়াল স্কুল অ‌্যান্ড কলেজ, রায়েবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার টেকনোলজি ইনস্টিটিউট কেন্দ্র পরিদর্শনে যান।

ইশরাক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের এজেন্ট বের করে দেয়া হচ্ছে। কোথাও জোর-জবরদস্তি করে আমাদের এজেন্টকে বের করে দেয়া হচ্ছে। কোথাও এজেন্টের এই ভুল, সেই ভুলের কথা বলে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আবার মহিলা কেন্দ্রে পুরুষ থাকা যাবে না বলে এজেন্টকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। অথচ মহিলা কেন্দ্রে পুরুষ এজেন্ট থাকতে পারবে।

তিনি বলেন, আমি প্রত্যেক জায়গায় গিয়ে এজেন্টদেরকে কেন্দ্রে ঢোকানোর চেষ্টা করেছি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সাড়ে ৬ হাজার এজেন্ট রয়েছে, সাড়ে ১১ শত কেন্দ্র রয়েছে। এখন আমি একা কতগুলো কেন্দ্রে যাব, কতগুলো কাভার করব। তারা যে এই ধরনের কারচুপির করবে, সেটা আমরা আগে থেকেই জানতাম, আমারা আগে থেকেই বলে আসছি। এখন আপনারা দেখতে পারছেন।

ইশরাক হোসেন অভিযোগ করেন, ভোটাররা যখন হাতের ছাপ দিয়ে ব্যালট পেপার একটিভ করছে, তখন তাদের এজেন্ট গিয়ে তাদের মার্কায় ভোট দিয়ে দিছে। এটাই সবখানে হচ্ছে। আমি যেখানে যাচ্ছি, সেখানে ভোটারা আমাকে জাপ্টে ধরে বলছেন, ভোট দিতে পারছি না। যদি সম্ভব হতো তাহলে আমি সবাইকে হেল্প করতাম। আমি তো চেষ্টা করে যাচ্ছি, কিন্তু কিচ্ছু হচ্ছে না। আমি চেষ্টা করে যাব, আমি লড়াই করে যাব। শেষ পর্যন্ত তো অবশ্যই মাঠে থাকব। ঢাকা/সাওন/নূর/রফিক