ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

মাশরাফির অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে আবাহনীর দ্বিতীয় জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক: ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের উদ্বোধনী ম্যাচের জয়ে বল হাতে দারুণ ভূমিকা ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার। আজ কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ইনিংসের পর বল হাতেও নিজের সেরাটা জানান দেন জাতীয় দলের এ অধিনায়ক। মাশরাফির এমন অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে কলাবাগানের বিপক্ষে ৩৬ রানে নিজেদের দ্বিতীয় জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে কলবাগান ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় আবাহনী লিমিটেড। আগে ব্যাট করতে নেমে মাশরাফির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৪৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১৭ রান করে আবাহনী। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.১ ওভারে ১০ উইকেটে ১৮১ রান করতে সক্ষম হয় কলাবাগান ক্রীড়া চক্র। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি আবাহনী। দলীয় ৯৯ রানে পৌঁছতেই মূল্যবান ৫ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। ডিপিএলে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে ৮৬ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলে খেলাঘরের বিপক্ষে আবহানীকে জয় এনে দিয়েছিলেন দলটির ওপেনার এনামুল হক বিজয়। কিন্তু কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে আজ দলীয় ১৭ রানেই শাহদাত হোসেনের শিকার হয়েছেন তিনি। এর আগে দলীয় ৪ রানেই শাহদাতের প্রথম শিকার হয়ে আবাহনীকে বিপদে ফেলেন আরেক ওপেনার সাইফ হাসান। তবে ওয়ানডাউনে নামা নাজমুল হাসান শান্ত আবাহনীর হয়ে প্রতিরোধ গড়েন। ৮৩ বলে ৫টি চারে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে মুকতার আলীর বলে সঞ্জিত সাহার হাতে ধরা পড়েন তিনি। দলীয় ৯৯ রানে তার ফেরার পর অধিনায়ক নাসির হোসেন ১২ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। গত ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিংয়ে আবাহনীকে জয় এনে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকাটি ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার। আজ ব্যাট হাতে আবাহনীর লড়াকু সংগ্রহে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল তার। অষ্টম অবস্থানে ব্যাট করতে নেমে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ঝড়ো ইনিংসটি খেলেন মাশরাফি। ৫৪ বল মোকাবিলা করে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় আবাহনীকে দুর্দান্ত এ ইনিংসটি উপহার দেন পেসার মাশরাফি। ৬৭ রানের ইনিংস খেলে যতীন সাক্সেনার বলে জসিমউদ্দিনের হাতে স্টাম্পিং হয়ে মাঠ ছাড়েন মাশরাফি। শেষদিকে তার এমন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২১৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় আবাহনী। ২১৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাশরাফি ‍ও তাসকিন আহমেদের আগুনে বোলিংয়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের ব্যাটিং লাইনআপ। জাতীয় দলের এই দুই পেসারই নিয়েছেন মোট ৭ উইকেট। মাশরাফির ৪ উইকেটের সঙ্গে ৩টি উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। মাশরাফি-তাসকিনের পেস আগুনে পুড়ে দলীয় ৮০রানেই ৪ উইকেট হারায় কলাবাগান। দলটির হয়ে কোনো ব্যাটসম্যানই ফিফটির দেখা পাননি। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে মুক্তার আলীর ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন মাহমুদউল হাসান। এছাড়া তাইবুর ২৬, মোহাম্মদ আশরাফুল ২৫ ও ওপেনিংয়ে নামা তাসামুল হক করেন ১৬ রান। মাশরাফি ও তাসকিনদের জ্বলে উঠার দিনে বল হাতে একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও সাকলাইন সজীব। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/শামীম