ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

চোটের কাছে হেরেছে খেলাঘর

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বড় আশা নিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এসেছিল খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। সবাইকে চমকে দিয়ে পুঁচকে দলটি জায়গা করে নেয় সুপার লিগে। যেখানে মোহামেডান, প্রাইম ব্যাংকের মতো বিগ বাজেটের দল সুপার লিগে খেলতে পারেনি, সেখানে খেলাঘর সেরা ছয়ে। সবাইকে অবাক করে খেলাঘর সুপার লিগে উঠলেও সেরার লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ে দলটি। তাহলে কি সুপার লিগে উঠেই সন্তুষ্ট দলটি? কোচ রুহুল মানতে চাইলেন না এমন কথা, ‘খেলাঘর সুপার লিগে উঠে সন্তুষ্ট হয়নি। আমাদের অনেক বড় স্বপ্ন ছিল।’ তাহলে সমস্যা হলো কোথায়? কোচ জানালেন, শিষ্যদের দুরবস্থার কথা, ‘আমি ইনজুরির কাছে হেরে গেছি। আর কিছু না। জাস্ট ইনজুরি। সুপার লিগে এসে আমরা হাসান মাহমুদকে হারিয়েছি। আমার মূল অলরাউন্ডার মইনুল ইসলাম সোহেল, আমার ব্যাটিংয়ের বড় স্তম্ভ অমিত মজুমদারকে হারাই। ওদেরকে সুপার লিগে পাইনি। আমাদের অধিনায়ক তো আগেই ইনজুরিতে পড়েছিল। সাদ্দাম আজ ইনজুরির কারণে খেলতে পারল না। টুটুল আমার পেস বোলার। ওর পায়ের অবস্থা ভালো না। ওকে দিয়েও পারলাম না বল করাতে।’ আজও মিরপুরে খেলাঘর চমকে দিয়েছিল আবাহনীকে। আব্দুল হালিম ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ৫ ওভারে। তাতেই এগিয়ে গিয়েছিল খেলাঘর। কিন্তু ৫ ওভার বোলিংয়ের পর নিজের পা আর নাড়াতে পারেননি। কোচের আক্ষেপটা ওটা নিয়েই। ‘আমরা পাড়া মহল্লার দল। আমাদের ইচ্ছা থাকলেও আমরা ব্যাকআপ ক্রিকেটার নিতে পারি না। আমাদের খরচ প্রিমিয়ার লিগের অন্যান্য দলের থেকে কম। মাত্র ৮০ হাজার টাকা লোকাল খেলোয়াড়ের পারিশ্রমিক। চাইলেও আমরা টাকা জোগাড় করতে পারি না। আমাদের অনেক কষ্ট হয়। আমাদের স্পন্সর নেই। তাই ব্যাকআপ খেলোয়াড়ও নিতে পারিনি। এই জায়গাটায় মাইর খাইছি’ -বলেছেন রুহুল। এবার সুপার লিগে পারেনি খেলাঘর। কোচের বিশ্বাস, পরেরবার পারবে খেলাঘর। সামনের মৌসুমেই ভালো দল গড়বে তারা। এজন্য স্পনসরের দিকে তাকিয়ে আছেন কোচসহ সংশ্লিষ্টরা। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ এপ্রিল ২০১৮/ইয়াসিন/পরাগ