অর্থনীতি

মুদ্রানীতি বেসরকারি খাতবান্ধব নয় : ডিসিসিআই

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরের (২০১৫-১৬) প্রথমার্ধের ঘোষিত মুদ্রানীতি বেসরকারি খাতবান্ধব নয় বলে মনে করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষস্থানীয় সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সংগঠনটির মতে, মুদ্রানীতি বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকে তেমন আকৃষ্ট করছে না, যেখানে দেশের বেসরকারি খাতে কমে যাওয়া বৈদেশিক বিনিয়োগ আরো উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো প্রয়োজন।   

 

রোববার ডিসিসিআই এক সংবাদ বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশের সরকারি ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণের সুদের হার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি অন্যান্য শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য সহায়ক নয়, যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক বেসরকারি খাতে ১৫ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

 

মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টি অর্থনীতির অন্যান্য অনুষঙ্গের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও ঋণের সুদের উচ্চ হার, ব্যবসা পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি এবং প্রস্তাবিত নতুন বেতন স্কেল বাস্তবায়নের কারণে মুদ্রাস্ফীতিকে আরোও প্রভাবিত করার আশংকা করছে সংগঠটি। 

 

প্রস্তাবিত মুদ্রানীতিতে ব্যাংকিং খাতের শ্রেণিভুক্ত ও খেলাপি ঋণ আদায় এবং তা সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা নেই বলে দাবি করে ডিসিসিআই। 

 

ঢাকা চেম্বার মনে করে, ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধিকে ডাবল ডিজিটে উন্নীত করা এবং ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার জন্য ৮% হারে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিল্পায়ন ত্বরান্বিতকরণের পাশাপাশি আর্থিক ব্যবস্থায় আরোও গতি সঞ্চার করতে হবে। এর পাশাপাশি সুদের হার কমানো এবং ব্যবসায় পরিচালন ব্যয় হ্রাসের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

 

চেম্বারটি আরো মনে করে, বিদ্যমান খেলাপি ঋণের বিষয়টি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের। তাই ডিসিসিআই আশা প্রকাশ করে, ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমানো হলে, দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।

     

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ আগস্ট ২০১৫/নিয়াজ/বকুল