অর্থনীতি

বর্তমানে শিল্পবর্জ্য মূল্যবান সম্পদ : শিল্পমন্ত্রী

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, শিল্পবর্জ্যকে এক সময় মূল্যহীন ভাবা হলেও আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারের ফলে বর্তমানে এটি মূল্যবান সম্পদে পরিণত হয়েছে।

 

তিনি বলেন, ‘আধুনিক বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) স্থাপনের মাধ্যমে শিল্পবর্জে্যর পরিশোধন ও এর পুনর্ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফলে শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ছে।’

 

বাংলাদেশ ইতিমধ্যে শিল্পবর্জ্য হ্রাস, বর্জ্য পরিশোধন ও পরিশোধিত বর্জ্য শিল্প উৎপাদনে পুনর্ব্যবহারের লক্ষ্যে জাতীয় থ্রিআর কৌশল গ্রহণ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

‘শিল্পবর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক ৬ষ্ঠ আঞ্চলিক সম্মেলন’ উপলক্ষে আয়োজিত গোল টেবিল সংলাপে সভাপতিত্বকালে মন্ত্রী এসব কথ বলেন। মালদ্বীপের রাজধানী মালের ধারুবার্গ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মঙ্গলবার এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

 

সংলাপে অন্যান্যের মধ্যে মালদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রী ড. ইস্হাত শিহাম, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের মন্ত্রী মোহামেদ হুসাইন সারিফ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত মন্ত্রী মোহামেদ সাঈদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিজ. ধুনিয়া মাওমুন বক্তব্য রাখেন। এসময় চীন, বাংলাদেশ, ফিজি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কিরিবাতি, সামোয়া, থাইল্যান্ড, জাপান, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, মঙ্গোলিয়া, পালাও, সলোমন আইল্যান্ড, টুভালু, ভিয়েতনাম, আফগানিস্তান, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, লাওস, কোরিয়া, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, নিউজল্যান্ড, শ্রীলংকা ও ফিলিপাইনের প্রতিনিধিরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সাম্প্রতিক অগ্রগতি ও নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

 

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য অংশগ্রহণমূলক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জরুরি। এ লক্ষ্যে পৌরসভাকেন্দ্রিক সনাতনী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে নগরবাসী, শিল্প উদ্যোক্তা ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তিনি কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ সরকার গৃহিত জাতীয় থ্রিআর কৌশল অনুসরনে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার অন্যান্য দেশে সরকারি-বেসরকারি-কমিউনিটি অংশীদারিত্বে উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করেন।’   

 

বৈঠকে বক্তারা বলেন, ‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে দ্রুত নগরায়নের ফলে শিল্পবর্জ্যের পরিমাণ অপ্রত্যাশিত হারে বাড়ছে। এ বর্জ্য দেশগুলোর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্রকে ক্রমেই হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তারা শিল্পবর্জ্যরে ফলে সৃষ্ট পরিবেশ দূষণ মোকাবিলায় সম্মিলিত উদ্যোগে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে একমত হন। তারা প্রাকৃতিক ও প্রতিবেশগত ঝুঁকি মোকাবিলায় এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহায়তা বিনিময়ের পাশাপাশি নতুন উদ্ভাবিত সবুজ প্রযুক্তি হস্তান্তরের ওপর গুরুত্ব দেন।

 

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের আঞ্চলিক উন্নয়ন কেন্দ্র ও জাপান সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যৌথ সহায়তায় মালদ্বীপ সরকার তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন আয়োজন করেছে। আগামী ১৯ আগস্ট এটি শেষ হবে।

 

২০ আগস্ট শিল্পমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

       

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ আগস্ট ২০১৫/নিয়াজ/ইভা