অর্থনীতি

৬৬১ কারখানার মধ্যে ২২টি ঝুঁকিপূর্ণ পেয়েছে অ্যালায়েন্স

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : গত দুই বছরে ৬৬১টি পোশাক কারখানার অগ্নি ও ভবনের কাঠামোগত নিরাপত্তামান পরিদর্শন শেষ করেছে উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি। এর মধ্যে ২২টি ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা চিহ্নিত করেছে তারা। ৮টি কারখানা থেকে অর্ডার নেওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ দিয়েছে তারা।

 

২০১৩ সালের এপ্রিলে সাভারে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় আমেরিকা ও ইউরোপীয় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ‘অ্যালায়েন্স’ ও ‘অ্যাকর্ড’ নামের দুটি সংগঠন তৈরি করে। সংগঠন দুটি কারখানার অগ্নি ও নিরাপত্তামান নিশ্চিত করতে পরিদর্শন শুরু করে।

 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে দ্বিতীয় বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় অ্যালায়েন্স।

 

সংবাদ সম্মেলনে অ্যালায়েন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেসবাহ রবিন জানান, পরিদর্শনে চূড়ান্তভাবে উর্ত্তীন হয়েছে ৬টি কারখানা। আর ২০ শতাংশ অথবা তার কম সংস্কার হয়েছে ১৫৪টি কারখানার। পরিদর্শন করা কারখানার বেশির ভাগই অগ্নি ও ভবনের কাঠামোগত ছোট-বড় ত্রুটি পাওয়া গেছে। এসব ত্রুটি সংশোধনে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

 

এ সময় জানানো হয়, বন্ধ হওয়া কারখানাগুলোর ৬ হাজার ১৭৭ জন শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। প্রথমিক অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ হয়েছে ৫৯৭টি কারাখানায়। আর ৪৭টিতে প্রশিক্ষণ চলছে। 

 

সংবাদ সম্মেলনে অ্যালেয়েন্সের নির্বাহী পরিচালক জেমস এফ মরিয়ার্টি গত দুই বছরের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে বলেন, ‘কারখানামালিকদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে অ্যালেয়েন্স।

 

শ্রমিক ক্ষমতায়নে অ্যালেয়েন্স সফল হয়েছে বলে দাবি করেন জোটটির স্বতন্ত্র সভাপতি অ্যালেন টশার।

 

রাইজিংজিডি/ঢাকা/৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫/নিয়াজ/রহমান