অর্থনীতি

সূচক ও লেনদেনের নিম্নগামিতায় কেটেছে সপ্তাহ

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : গত সপ্তাহে দেশের উভয় পুঁজিবাজারে সূচকের পতন হয়েছে। কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। আলোচ্য সপ্তাহে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাতও (পিই রেশিও) কমেছে। সমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের মূল্যসূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন। আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন কমার পরিমাণ ছিল ৪৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৭৯৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার। যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ৮ হাজার ৬৫৭ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার। সেই হিসাবে আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৩ হাজার ৮৬০ কোটি ২৪ লাখ টাকা বা ৪৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৫ দশমিক ৫ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ। ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ বা ২৫৩ দশমিক ৫১ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক কমেছে ৪ শতাংশ বা ৮১ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরিয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে ২ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ৩৭ দশমিক ৭০ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৪টি কোম্পানির, কমেছে ২৮১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির। আর লেনদেন হয়নি একটি কোম্পানির শেয়ার। এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ২৮৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার। তবে সার্বিক সূচক কমেছে ৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৮৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৯টি কোম্পানির, কমেছে ২৪৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির। এদিকে সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে আগের সপ্তাহের চেয়ে পিই রেশিও কমেছে দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৫ দশমিক ৪১ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৬ পয়েন্ট। বিশ্লেষকদের মতে, পিই রেশিও যত দিন ১৫ এর ঘরে থাকে তত দিন বিনিয়োগ নিরাপদ থাকে। সপ্তাহ শেষে খাতভিত্তিক ট্রেইলিং পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৯ দশমিক ২ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৯ দশমিক ৬ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২২ দশমিক ৪ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২১ দশমিক ৬ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২৮ দশমিক ২ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতে ১৫ দশমিক ২ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ২৫ দশমিক ৬ পয়েন্টে। এ ছাড়া পাট খাতের পিই রেশিও মাইনাস ১৫ দশমিক ৬ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৩০ দশমিক ৬ পয়েন্টে, এনবিএফআই খাতে ২৯ পয়েন্টে, কাগজ খাতের মাইনাস ১০৬ দশমিক ৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৮ দশমিক ৭ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২৪ দশমিক ২ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ২৩ দশমিক ৩ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৯ দশমিক ২ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ২২ দশমিক ৫ পয়েন্টে এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২৬ দশমিক ১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/আশিক/হাসান/এসএন/এএন