অর্থনীতি

আইপিইউ ফেয়ারে ওয়ালটনে বিদেশি ডেলিগেটদের আগ্রহ

হাসান মাহামুদ : ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) সম্মেলনের ১৩৬তম আসরে আগত বিদেশি আইনপ্রণেতারা পছন্দ করেছেন ‘আইপিইউ অ্যাসেম্বলি ফেয়ার’। দেশি যেসব প্রতিষ্ঠান নিজেদের উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে, সেসব প্রতিষ্ঠানই স্থান পেয়েছে এই ফেয়ারে। এর মধ্যে বিদেশি এসব উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে ‘ওয়ালটন’। আইপিইউ-এর এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন  ১৩৪টি দেশের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, এমপিসহ প্রায় দের হাজার ডেলিগেট। এর মধ্যে ফেয়ারে ঘুরতে আসা ডেলিগেটদের মধ্যে অধিকাংশই আসছেন দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ালটন’- এর প্যাভিলিয়নে। সম্মেলন উপলক্ষে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের বিভিন্ন সামগ্রীর চিত্র তুলে ধরতে বিশেষ এই ফেয়ারের আয়োজন করা হলেও এখানে বিক্রিরও সুযোগ রয়েছে। ওয়ালটনের পণ্য কিনছেন বিদেশি ডেলিগেটরাও। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনের (বিআইসিসি) পাশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার স্থানে ক্ষুদ্র পরিসরে চলছে এই মেলা। মেলায় টেন্ট-২ তে ১৮ নম্বর মিনি প্যাভিলিয়ন ‘ওয়ালটন’-এর। সোমবার ফেয়ারের তৃতীয় দিনে ৩০টির বেশি দেশের স্পিকার, সংসদ সদস্য এবং টেকনিক্যাল পারসন ঘুরতে এসেছিলেন ওয়ালটনের মিনি প্যাভিলিয়নে। এর মধ্যে তানজানিয়ার সংসদ সদস্য ড. খালচেরিয়া আলিয়াছি, উগান্ডার সংসদ সদস্য ড. রবার্ট তুমুকাছি, নাইজেরিয়ার সংসদ সদস্য ড. আর এ আইডু, ভুটানের পেমা তানজিন, আইসল্যান্ডের সুসান, রিলমো ওয়ালটনের পণ্যের প্রশংসা করেন। এ ছাড়া আফ্রিকা এবং কেনিয়া থেকে আগত অতিথিরা দেশগুলোর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ওয়ালটনের যোগাযোগ থাকা জরুরি বলে মন্তব্য করেন। আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত এই মেলায় যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত পণ্য দেশের বাইরে রপ্তানি করে, তারাই কেবল স্থান পেয়েছে। সেক্ষেত্রে দেশের একমাত্র ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে মেলায় ওয়ালটনকে প্যাভিলিয়ন দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর (ইপিবি) পক্ষ থেকে। এ জন্য আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ইপিবি এবং জাতীয় সংসদকে ধন্যবাদ জানান ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (পিআর অ্যান্ড মিডিয়া) মো. হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, বিদেশি অতিথিদের সামনে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সরকারের এসব সংস্থা ওয়ালটনের প্রতি আস্থা রেখেছে, এ জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।  ফেয়ারে ওয়ালটনের লোকেশনটাও সুন্দর স্পেসে এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্যাভিলিয়নে। এ জন্যও আয়োজক সংস্থা এবং তদারকি সংস্থাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মেলায় ওয়ালটনের উপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, মূলত উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের বিভিন্ন সামগ্রীর চিত্র তুলে ধরতে এই ফেয়ারের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখছি এখানে বিদেশি ডেলিগেটরা বেশ ভালো আগ্রহ দেখাচ্ছেন ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্য এবং ওয়ালটন ব্র্যান্ডটির প্রতি। মেলায় ওয়ালটনের স্টলের কো-অর্ডিনেটের দায়িত্বে থাকা শাহ শহিদ চৌধুরি বলেন, দেশীয় উৎপাদিত পণ্য উপস্থাপনের মাধ্যমের দেশের উন্নয়ন ও সক্ষমতা বোঝানোর জন্য ফেয়ারটির আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু এখানে ভালো বিক্রিও হচ্ছে। তিনি জানান, ফেয়ারের প্রথম দিন থেকেই ওয়ালটন পণ্যের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছেন বিদেশি ডেলিগেটরা। মেলায় চারটি প্যাভিলিয়নসহ ৫৯টি স্টল রয়েছে। এতে সরকারি ও বেসরকারি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। ওয়ালটনের পাশাপাশি মেলায় শাইনপুকুর সিরামিকস, বেক্সিমকো ওষুধ কোম্পানি, বনানী টেক্সটাইল, আইসিটি, চামড়া শিল্প, প্লাস্টিক কোম্পানিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দোকান রয়েছে। রয়েছে খাবার দোকানও। বিশেষ এই উন্নয়ন মেলার আয়োজন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো (ইপিবি)। সংসদ সদস্যদের পক্ষে ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম মেলার সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। আজ সোমবার চলছে মেলার তৃতীয় দিন। আইপিইউ সম্মেলন চলবে ১ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এই পাঁচ দিন ধরেই বিশেষ উন্নয়ন মেলা চলবে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ এপ্রিল ২০১৭/হাসান/সাইফ