অর্থনীতি

অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত হবে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : অবকাঠামোখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির ফলে দেশে বিনিয়োগে পরিবেশ উন্নত হবে বলে মনে করছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম খান। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডিসিসিআই বোর্ড রুমে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সম্পর্কে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভায় ডিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, সরকার বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষে সারাদেশে ১০টি এসইজেড স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা প্রশংসার দাবিদার। তিনি এসইজেডগুলোতে বিভিন্ন সেবার সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে ফাস্ট ট্র্যাকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কার্য সম্পাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করাসহ এডিপিতে বিভিন্ন প্রকল্প বিশেষ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানী,খনিজ সম্পদ আহরণ, রেলপথের উন্নয়ন প্রভৃতি খাতে বরাদ্দ বেশি রাখাকে সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন, এবছর এডিপির বরাদ্দ মোট বাজেটের ৩৮ দশমিক ৮ শতাংশ করা হয়েছে, যা গতবছর ছিল ৩৩ শতাংশ এবং এটা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এছাড়া জিডিপ’র ৫-৬% অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে এবং এ খাতের আধুনিকায়নের লক্ষ্যে আরো বেশি হারে বেসরকারী খাতের বিনিয়োগের বাড়াতে হবে। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, সরকার ২০১৮ সালের মধ্যে এলএনজি আমদানি এবং প্রস্তাবিত বাজেটে গ্যাসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ভর্তুকী প্রদানের মাধ্যমে এর মূল্য নির্ধারনের বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেছে, যার ফলে নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশপাশি ব্যবসায় ব্যয় হ্রাস পাবে এবং ব্যবসায়ী সমাজ আরো নতুন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন। সরকারি ব্যাংকগুলো হতে ঋণ গ্রহণের বিষয়ে ঢাকা চেম্বার সভাপতি বলেন, এটি একটি গতানুগতিক প্রক্রিয়া এবং বর্তমানে দেশে তারল্যের সংকট নেই, যার ফলে বেসরকারীখাতের উদ্যোক্তারাও ব্যাংক হতে ঋণ সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে ঋণের সুদের হার কমানো হলে ব্যবসায়ী মহলের পাশাপাশি সাধারণ জনগনও উপকৃত হবেন। ডিসিসিআইসভাপতি খেলাপী ঋণ আদায়ে আরো মনোযোগী হওয়ার প্রস্তাব করেন। ঢাকা চেম্বার মনে করে প্রস্তাবিত বাজেটটি ব্যবসা বান্ধব, তবে বড় আকারের এ বাজেট বাস্তাবায়নের সরকারকে আরোও বেশিসচেতন হতে হবে। ডিসিসিআইর সভাপতি বলেন, বিডা আগামী ৫বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে ‘ইজ অফ ডুয়িংবিজনেস'-এর তালিকার ১০০-এর ভিতরে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে পাঁচ বছরের মধ্যে কাঙ্খিত সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে এটির বছরভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করতে হবে। তিনি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট আয়ের২.৫% গবেষণা খাতে বিনিয়োগ ও মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যয় করা হলে তাতে কর রেয়াত দেওয়ার আহবান জানান। এ সময় তিনি প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তি খাত ও করর্পোরেট করের হার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাবিত পুনঃবিবেচনায় আহবান জানান। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ জুন ২০১৭/নাসির/এনএ