অর্থনীতি

ঈদের ছুটিতে খোলা শুল্ক স্টেশনে ছিল মিশ্র প্রভাব

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখতে ঈদের ছুটিতেও দেশের সব কাস্টমস হাউস ও কাস্টম স্টেশন খোলা রাখা হয়েছিল। কাস্টমস হাউস ও কাস্টম স্টেশন খোলা থাকলেও  আমদানি-রপ্তানিতে এর প্রভাব ছিল নামেমাত্র।  ঈদের ওই তিন দিনে কোনো আমদানি না হলেও বেশকিছু পণ্য রপ্তানি হয়েছে চট্টগ্রাম ও খুলনাসহ বিভিন্ন শুল্ক স্টেশনে। মূলত কাস্টমস হাউস ও স্টেশন সংশ্লিষ্ট বন্দর, ব্যাংক ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় স্টেকহোল্ডিং প্রতিষ্ঠান খোলা না থাকায় পণ্য আমদানি হয়নি।  ফলে ঈদের ছুটির ওই তিন দিন নামমাত্র রাজস্ব যোগ হয়েছে সরকারের খাতায়। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্কনীতির সদস্য মো. লুৎফর রহমান রাইজংবিডিকে বলেন, শুধুমাত্র শুল্ক স্টেশন খোলা থাকলেই তো আমদানি-রপ্তানি কাজ করা সম্ভব হয় না। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যদি খোলা না থাকে তবে এর ফল পাওয়া যায় না। তবে ওই তিন দিন কোনো পণ্য আমদানি না হলেও কিছু পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট এনবিআর থেকে এক আদেশে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখতে সব কাস্টমস হাউস ও কাস্টম স্টেশন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর। ওই আদেশে বলা হয়েছিল, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১ থেকে ৩ সেপ্টেম্বর সব কাস্টমস হাউস ও কাস্টমস স্টেশন খোলা থাকবে। একই সঙ্গে এ তিন দিন কাস্টমস হাউস ও স্টেশনসমূহে ন্যূনতম কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিতসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে কমিশনাররা। এছাড়া ওই আদেশে কাস্টমস হাউস ও স্টেশন সংশ্লিষ্ট বন্দর, ব্যাংক ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় স্টেকহোল্ডিং প্রতিষ্ঠানও খোলা রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭/এম এ রহমান/মুশফিক