অর্থনীতি

ওয়ালটন কর্মীদের অন্যরকম একটি দিন

রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম : নাচ, গান, আনন্দ আড্ডা, সমুদ্র সৈকতে উৎসব, মেজবানি খাওয়া-দাওয়া, বিজনেস কনফারেন্স, পুরস্কার- কোনো কিছুই বাদ যায়নি। ওয়ালটন গ্রুপের চট্টগ্রাম রিজিয়নের প্রায় ৩ শতাধিক কর্মী পর্যটন নগরী কক্সবাজারে এক অন্যরকম আনন্দমুখর দিন উপভোগ করেছেন। ওয়ালটন চট্টগ্রাম রিজিয়নের সেলস প্রমোশন প্রোগ্রাম-২০১৮ উপলক্ষে কক্সবাজারে এই আনন্দ সম্মিলনের আয়োজন করা হয় শুক্রবার দিনভর। ওয়ালটনের প্লাজা সেলস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের উদ্যোগে এটির আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চট্টগ্রাম রিজিয়নের ওয়ালটনের কর্মীরা কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। চট্টগ্রাম মহানগরী, সমগ্র চট্টগ্রাম বিভাগ ও জেলা, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান পার্বত্য জেলা থেকে প্রায় ৩ শতাধিক ওয়ালটনকর্মী এই বৃহৎ আয়োজনে অংশ নেন।  

অনুষ্ঠানে ছিলেন ওয়ালটন প্লাজা ব্যবস্থাপক, সেলস এক্সিকিউটিভ, সার্ভিস সেন্টারসমূহের কর্মকর্তা, এরিয়া ম্যানেজার, আইটি ও মিডিয়া বিভাগের কর্মকর্তাগণ। ঢাকা থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন চিফ মার্কেটিং অফিসার (ওয়ালটন প্লাজা সেলস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) নিয়ামুল হক ও সিনিয়র অ্যাসিন্ট্যান্ট ডিরেক্টর (প্লাজা সেলস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) আরিফুল ইসলাম। শুক্রবার সকালে কক্সবাজার পৌঁছেই ওয়ালটনের কর্মীরা সাগর সৈকতে আনন্দ উৎসবে অংশ নেন। দুপুর পর্যন্ত দেশের বৃহৎ সমুদ্র সৈকত ও সাগরের লবণাক্ত জলে সময় কাটানোর পর দুপুরে আয়োজিত হয় চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানের। মেজবানে গরুর মাংস, নেহারি, মেজবানি চনার ডাল, ডিম, পায়েসসহ নানা মুখোরোচক খাবারের বুফে ছিল।

এর পর বিকেলে শুরু হয় সেলস প্রমোশন প্রোগ্রাম-২০১৮। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চিফ মার্কেটিং অফিসার নিয়ামুল হক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর আরিফুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়ালটনের চট্টগ্রামের বিভিন্ন জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এরিয়া ম্যানেজার ইমরোজ হায়দার খান, ফাহাদ আহাম্মেদ, আরিফ মহিউদ্দিন, নূরে আলম। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের মিডিয়া বিভাগের প্রতিষ্ঠান রাইজিংবিডির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তা রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম ডিভিশনাল আইটি ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম প্রমুখ। চট্টগ্রাম রিজিয়নের কয়েকজন প্লাজা ব্যবস্থাপক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিয়ামুল হক বলেন, ‘ওয়ালটনকে এগিয়ে নিতে আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে। ওয়ালটনের উন্নতি মানেই আমাদের নিজেদের উন্নতি। এবার কক্সবাজারে এই আনন্দ সম্মিলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, আগামী দিনে দেশের বাইরে ওয়ালটনের প্রতিটি কর্মীকে নিয়ে এমন বড় আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য আমাদের সকলকে ওয়ালটনের উন্নয়ন ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করে যেতে হবে।’  

বিজনেস কনফারেন্স শেষে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যাফেল ড্র। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গভীর রাত পর্যন্ত নেচে-গেয়ে আনন্দ উপভোগ করেন ওয়ালটনের কর্মীরা। পরে র‌্যাফেল ড্র বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন চিফ মার্কেটিং অফিসার নিয়ামুল হক ও অন্যান্য অতিথি। শনিবার ভোরে ওয়ালটনের কর্মীরা কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম জোনের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যান। রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/৭ এপ্রিল ২০১৮/রেজাউল করিম/সাইফুল