অর্থনীতি

ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট প্রত্যাহার চায় বেসিস

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : ইন্টারনেট ব‌্যবহার সহজলভ‌্য করতে ভ্যাট আইনের প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের মাধ্যমে সব পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। বুধবার এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যালস, কম্পিউটার, আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে প্রাক-বাজেট আলোচনায় বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর এ দাবি উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া আইটি খাতে ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা, ডিজিটাল স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট বাজেটের ৫ শতাংশ প্রযুক্তি খাতে খরচের বাধ‌্যবাধকতা রাখা, উৎসে ভ‌্যাট প্রত‌্যাহারসহ বেশ কিছু প্রস্তাব পেশ করে সংগঠনটি। প্রস্তাবনাগুলো হলো-২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা : বেসিস জানায়, সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত থেকে আগামী ২০২১ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ  লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফটওয়্যার ও আইটি সেবা খাতের কোম্পানিগুলোকে রপ্তানিতে নগদ অর্থ প্রণোদনা জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই এই খাতে ২০ শতাংশ নগদ অর্থ প্রণোদনা রাখা প্রয়োজন বলে বেসিস মনে করে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট বাজেটের ৫ শতাংশ আইটি খাত অন্তর্ভুক্তকরণ : ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ‌্যে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক মোট বাজেটের ন্যূনতম ৫ শতাংশ অর্থ সফটওয়‌্যার ও আইটিএস খাতে খরচ করার বাধ‌্যবাধকতার বিধান অন্তর্ভুক্তিকরণ। এতে করে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় ডিজিটালাইজেশন ত্বরান্বিত হবে এবং অনেক বড় দেশীয় বাজারের সৃষ্টি হবে। সেবার ওপর উৎসে মূসক প্রত‌্যাহার : স্থানীয় সফটওয়‌্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে অপর স্থানীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সফটওয়‌্যার এবং তথ‌্যপ্রযুক্তি সেবার ওপর আরোপিত উৎসে মূসক সম্পূর্ণরূপে প্রত‌্যাহার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনটি বলছে, গত ১ জুলাই ভ‌্যাট সম্পর্কিত ঘোষিত সাধারণ আদেশে তথ‌্য-প্রযুক্তিনির্ভর সেবার ওপর ৪.৫ শতাংশ হারে উৎসে মূসক কর্তন আরোপিত হয়। যা তথ‌্য-প্রযুক্তি খাতের বিকাশে অন্তরায়। তাই ওই ভ‌্যাট সম্পূর্ণরূপে প্রত‌্যাহারের দাবি জানানো হয়। ট‌্যাক্স এক্সেম্পশন সার্টিফিকেট : এনবিআর থেকে ট‌্যাক্স এক্সেম্পশন সার্টিফিকেট প্রদান প্রক্রিয়া অত‌্যন্ত সময়ক্ষেপণকারী হিসেবে আবেদনকারী সফটওয়‌্যার ও তথ‌্যপ্রযুক্তি পরিসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সবসময় অভিযোগ করে থাকে। অনেক সময় মাসের পর মাস আপেক্ষা করেও সার্টিফিকেট পাওয়া যায় না। এজন‌্য আয়কর আইনের অধীন ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আয়করমুক্ত প্রাপ্ত সফটওয়‌্যার ও তথ‌্যপ্রযুক্তি পরিসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতি বছর ট‌্যাক্স এক্সেম্পশন সার্টিফিকেট না নিয়ে ওই সময়ের মধ‌্যে একবারই সার্টিফিকেট নিতে আবেদন করবে। যা এক মাসের মধ‌্যে আবেদনকারীকে হস্তান্তর করতে হবে বলে বেসিসের প্রস্তাবে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সফটওয়‌্যার বা আইটি এনাবেল্ড সার্ফিসেসের আয়ের ‍ওপর কর্তনকৃত অগ্রিম আয়কর ফেরত, ইন্টারনেট ইন্টারফেস কার্ড, রাউটার, সার্ভার, ব্যাটারিসহ সব ইন্টারনেট ইকুইপমেন্টের ওপর বর্তমান আরোপিত ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারসহ আরো কিছু দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ এপ্রিল ২০১৮/এম এ রহমান/ইভা