অর্থনীতি

বিড়ির ওপর প্রস্তাবিত কর প্রত্যাহারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ফিল্টার বিড়ির ওপর ২৫ শতাংশ কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে এ শিল্প ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিড়ি শ্রমিক ও মালিকরা। তাই এ প্রস্তাবিত কর প্রত্যাহারের জোরালো দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির নেতারা। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সংগঠনটির সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিড়ির ওপর কর বসাতে চাননি। একটি বিদেশি কোম্পানি (ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যোগসাজশ করে ফিল্টার বিড়ির ওপর ২৫ শতাংশ কর বসিয়েছে। এবারের বাজেট চূড়ান্ত হওয়ার আগে এ কর প্রত্যাহার করতে হবে। গত অর্থবছরে বিড়ি শিল্পের ওপর শতভাগ কর বাড়ানো হয়েছিল। তখন প্রতি হাজারে রাজস্ব ৩৩৬ টাকা থেকে ৪২০ টাকায় পরিণত হয়েছে। এই ঘানি টানতে না টানতেই এই বাজেটে বিড়ির মূল্য ১২ টাকা থেকে ১৫ টাকায় উন্নীত করেছে। অথচ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছিলেন। সিগারেটের মূল্যের ওপর কর বাড়ানো হয়নি, উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, কম দামি সিগারেটের মূল্য প্রস্তাবিত বাজেটে তিন টাকা কমানো হয়েছে। আর অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে সম্পূরক শুল্ক। বেশি দামি সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক মোটেও বাড়ানো হয়নি। অর্থমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তই বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করবে। এছাড়া ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানির সিগারেটের দাম কমানো হয়েছে। এরকম বৈষম্যমূলক আচরণ সূক্ষ্ম চক্রান্তের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে চার দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো- বাজেটে প্রস্তাবিত কর প্রত্যাহার, বহুজাতিক কোম্পানির জন্য আলাদা একটি বিশেষ ক্লাব অব্যাহত রাখতে হবে। বিড়ি শিল্পকেও সিগারেটের মতো ২০৪০ সাল পর্যন্ত সময় দিতে হবে। ভারতের মতো করারোপ এবং কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে। সংগঠনটির সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ দেবের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি নাদের হোসেন, আকিজ বিড়ির মহাব্যবস্থাপক কাজী আনোয়ারুল ইসলাম, সংগঠনটির সমন্বয়কারী আলী সাদাত খান মজলিস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সামসুল হক, আতাউর রহমান প্রমুখ।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ জুন ২০১৮/ইয়ামিন/রফিক