অর্থনীতি

‘বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সার্ক কার্যকর নয়’

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে যে সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে সেটা বাস্তবায়নে সার্ক খুব কার্যকর হচ্ছে না বলে মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে সিপিডি আয়োজিত সংলাপে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ এ মতামত দিয়েছেন। সিপিডি’র অতিরিক্ত পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। সিপিডি’র সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মসূচি আসার ফলে জনমনে যে আকাঙ্খার সৃষ্টি হয়েছে এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ইত্যাদি নিয়ে যে সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য এই মুহূর্তে আমাদের আঞ্চলিক কাঠামো বিশেষ করে সার্ক খুব কার্যকর হচ্ছে না। তাই জনপ্রত্যাশার সঙ্গে আমাদের আঞ্চলিক কাঠামোর একটা পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। এই পার্থক্য দূর করার জন্য হয়তো নতুন ধরনের পদ্ধতি এবং নতুন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রয়োজন পড়বে। জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে হলে সেই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর পদ্ধতি হতে হবে জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগুতে হবে। আর তার জন্য নতুন জ্ঞান ও নতুন বিশ্লেষণ দরকার। নতুন জ্ঞান এবং বিশ্লেষণকে নীতি নির্ধারকদের কাছে নিয়ে নতুন পলিসি সৃষ্টি করা দরকার। এটা না হলে বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে যে আঞ্চলিক সহযোগিতার বাড়তি সুযোগ, সেটা আমরা হারাবো। এতে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ অনুষ্ঠানে ড. গওহর রিজভী বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন নির্ভর করে সরকারি সংস্থাগুলোর কাজের ওপর। এখানে একক কোনো সংস্থা বা মন্ত্রণালয় কাজ করলে হবে না। সবগুলো মন্ত্রণালয়কে সম্মিলিতভাবেই কাজ করতে হবে। সম্মিলিতভাবে কাজ করতে না পারলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) একটিও অর্জন করা সম্ভব না।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন। বর্তমান সরকার সব সময় আঞ্চলিক সহযোগিতাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে চলেছে।’ সংলাপে আরো উপস্থিতি ছিলেন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সম্পর্কিত অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনইএসসিএপি) প্রধান ড. নাগেশ কুমার, আফগানিস্তানের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার আব্দুল ওয়াহেদ আহমেদ ও শ্রীলঙ্কার ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজ অব শ্রীলঙ্কা (আইপিএস) রিসার্চ ফেলো ড. গানগা তিলাকারত্নে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ নভেম্বর ২০১৮/এম এ রহমান/শাহনেওয়াজ