অর্থনীতি

শুরুতেই জমে উঠছে বাণিজ্যমেলা

রাইজিংবিডি২৪.কম:

শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় জমে উঠছে ১৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। এবার অনেকটা ছিমছাম মেলা প্রাঙ্গনে দেশি-বিদেশি স্টলগুলো সবার নজর কাড়ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের মাঠে আয়োজিত এ মেলায় পণ্য অনলাইনে কেনার সুযোগ রয়েছে। এ কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা হ্যাপি আক্তার জাষ্ট নিউজকে জানান, ডিজিটাল ডিআইটিএফ নামের এই  ওয়েবসাইটে ঘরে বসেই ক্রেতারা কিনতে পারবেন বাণিজ্যমেলায় থাকা বিভিন্ন পণ্য। মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর প্যাভিলিয়ন ও স্টলের লোগোতে ক্লিক করলেই পাওয়া যাবে ওই সব পণ্য। পুরান ঢাকা থেকে মেলায় আসা বেসরকারি কর্মকর্তা শাওন হাসান তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তিনি জাস্ট নিউজকে বলেন, প্রতি বছরই এ মেলার অপেক্ষায় থাকি। মেলায় প্রথমদিকে ভিড় কম তাকে বলে স্ত্রীকে নিয়ে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে এসেছি। তবে গত বছরের তুলনায় প্রথমদিকে এবার মানুষ বেশি এসেছেন বলে জানান তিনি।মেলার ২৪৮ নং স্টলে অবস্থান নেয়া আডিয়েল গ্রুপের বিক্রয় কর্মকর্তা এফতেকারুল আলম জানান, মূলত শুক্রবার থেকেই বিক্রয় জমে উঠেছে। তবে এর আগে কোনো প্লট বিক্রয় বা বুকিং হয়নি। শুক্রবার মেলা ঘুরে দেখা যায়, দর্শকদের আকৃষ্ট করতে ২টি মা ও শিশু কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ছোট আকারে একটি মেডিকেল সেন্টার খোলা হয়েছে, যা আগে ছিল না। ছিলো বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের একাধিক এটিএম বুথ। গতবারের মতো এবারও ১২টি দেশের ৩০টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো :  পাকিস্তান, ভারত, চীন, জাপান, হংকং, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কো। এবারের মেলায় রয়েছে প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ৫৩টি, বিদেশী প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন ৩৫টি, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন পাঁচটি, বিদেশী প্যাভিলিয়ন ২০টি, বিদেশী মিনি প্যাভিলিয়ন ১০টি, সাধারণ প্যাভিলিয়ন ১০টি, স্টল ৩০৪টি, রেস্টুরেন্ট ৬টি, বিদেশী প্রিমিয়ার স্টল ৩২টি।মেলার ঠিক মাঝখানে নির্মাণ করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি প্যাভিলিয়ন। দর্শক- ক্রেতাদের স্বাগত জানাতে নির্মিত হয়েছে তিনটি বড় ফটক। বাণিজ্যমেলা উপ পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান হোসাইনী জানান, বিশেষ মনিটরিংয়ের কারণে মেলা সবাইকে আকৃষ্ট করবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রতিদিনই মেলার কার্যক্রম দেখাশোনা করতে সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গনে উপস্থিত থাকেন। এবারের বাণিজ্যমেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এ বছর মেলা থেকে ৪৫ কোটি টাকার রফতানি আদেশ পাওয়ার আশা করছে আয়োজকরা।