অর্থনীতি

এইও সুবিধা পেল তিন ওষুধ কোম্পানি

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : ওষুধ শিল্পের তিন কোম্পানিকে অথরাইজড ইকোনোমিক অপারেটর (এইও) মর্যাদা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মাধ্যমে বাণিজ্য সুবিধা সম্প্রসারণে নতুন যুগে প্রবেশ করছে এনবিআর। যার মাধ্যমে কোম্পানি ৩টি আমদানি ও রপ্তানিতে ১০ ধরনের সুবিধা পাবে। কোম্পানি ৩টি হলো- স্কয়ার, বেক্সিমকো ও ইনসেপটা ফার্মাসিটিক্যাল। রোববার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া কোম্পানি তিনটির মাঝে এইও সনদ বিতরণ করেন। এইও সুবিধা আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে বলা হবে। পর্যায়ক্রমে এ সুযোগ বাড়বে। এ বাণিজ্য কার্যক্রমে ২৯ ধরনের কাগজপত্রের পরিবর্তে মাত্র ৫ ধরনের কাগজপত্র দিতে হবে। এইও সুবিধা হলো ফাস্ট ট্রাক। বিমানে প্রথম শ্রেণি যাত্রীর সুবিধার মতো! বন্দরে পণ্য খালাসে গ্রিন চ্যানেল সুবিধার মতো। অর্থাৎ আমদানি করা পণ্য বন্দরে পড়ে থাকবে না। খুব অল্প সময়ে খালাস হবে। আমদানিকারকের নিজস্ব গুদামেই পণ্য পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হবে। জাহাজ থেকে পণ্যের চালান ট্রাকে করে সরাসরি আমদানিকারকের গুদামে যাবে। পণ্য খালাস করতে কাগজপত্র নিয়ে শুল্ক কর্তৃপক্ষের দপ্তরের টেবিলে টেবিলে দৌড়াতে হবে না। দুই পক্ষের সব যোগাযোগ হবে ই-মেইলে। সহজ হবে আমদানি ও রপ্তানি। এইও ধারী প্রতিষ্ঠান মোট দশ ধরনের সুবিধা পাবে। আর সনদ পেতে হলে সাত শর্ত পূরণ করতে হবে। ওষুধ খাতের তিনটি কোম্পানি বাছাইয়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অনুষ্ঠানে বলা হয়, রপ্তানিমুখী ওষুধ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাধারণত নানা ধরনের নিয়মকানুন মানতে হয়। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় রাজস্ব খাতের নিয়মনীতি পরিপালনে এ খাতের কোম্পানিগুলো এগিয়ে রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের দলিলপত্র অটোমেশন ব্যবস্থায় থাকে। এসব কারণে আপাতত তিনটি ওষুধ কোম্পানিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এইও নিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বে ১০০টির বেশি মিউচুয়াল রিকগনিশন অ্যাগ্রিমেন্ট (এমআরএ) আছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ, জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশের মধ্যে এসব সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকে বাণিজ্য সহায়তা চুক্তি (ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন অ্যাগ্রিমেন্ট) হয়। এতে বাংলাদেশ সই করে। এই চুক্তির ৭ দশমিক ৭ অনুচ্ছেদে এইও ব্যবস্থা চালুর কথা বলা হয়। ২০১২ সালে ভারত এই ব্যবস্থা চালু করেছে। ভারতের শতাধিক প্রতিষ্ঠান এই সনদ নিয়েছে। শিল্প উৎপাদক, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ওয়্যারহাউস ফ্রেইট ফরোওয়ার্ডার্স, সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর-এই এইও সনদ নিতে পারেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচন বিমানবন্দরও এ সনদ নিয়েছে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ মে ২০১৯/এম এ রহমান/সাইফ