অর্থনীতি

বেড়েছে সবজির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কাচাবাজারগুলোতে ৪০ থেকে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি মেলা ভার। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে অধিকাংশ সবজির দাম। দাম বৃদ্ধির পেছনে সেই পুরোনো অজুহাত ‘সরবরাহ কম’।

শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, শনির আখড়া, কাজলা, দনিয়া বাজার, ওয়ারীসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এক সপ্তাহ আগেও ডিমের ডজন দোকানিরা বিক্রি করেছেন ১০৫-১১০ টাকায়। খুচরা পর্যায়ে ডিমের হালি এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকা। সে হিসাবে তারা প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করছেন ১২০-২৬ টাকা। পেঁয়াজের দামও কেজিতে বেড়েছে পাঁচ থেকে আট টাকা। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা।

ডিম ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে ডিমের যে চাহিদা খামারিরা তা সরবরাহ করতে পারছেন না। দেড় মাস পর ঈদুল আজহা। সবাই এখন পেঁয়াজ মজুদ করছে। তাই পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে।

কাচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি পটল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, কচুর লতি ৪৫ টাকা, কচুর ছড়া ৬০ টাকা, চিচিঙা ৪৫ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা,  করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, শসার বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, দেশি পাকা টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, আমদানি করা টমেটো ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে রসুন রয়েছে আগের দামে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। পুঁইশাক, লাউশাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা আঁটি। আলুর দাম কেজি প্রতি দুই টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকায় ।

সবজি ব্যবসায়ী খলিল জানান, বাজারে সরবারাহ কম থাকায় গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহের কেজি প্রতি সবজির দাম একটু বেড়েছে। সরবরাহ ভালো হলে আবার দাম কমে আসবে।

গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০  টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা দরে, যা আগে ছিল ১৪০ টাকা কেজি। আর লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা দরে। দেশি প্রতি পিস মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, যা ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। কক প্রতি পিস ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম।

তবে চড়া রয়েছে মাছের দাম। তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, পাঙাশ ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, রুই মাছ ২৮০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, শিং ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।

এদিকে চালের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি নাজির ৫৮  থেকে ৬০ টাকা, মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, বিআর ২৮ নম্বর ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাজার করতে আসা লোকমান রহমান বলেন, এভাবে যদি সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে আমাদের মত মধ্যবিত্তদের জীবনধারণ দুরহ হয়ে পড়বে।  

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫জুলাই ২০১৯/মামুন খান/শাহেদ