অর্থনীতি

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে আকর্ষণীয় ক্যাশ ভাউচার পেলেন দুই ব্যবসায়ী

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে এবার আকর্ষণীয় ক্যাশ ভাউচার পেলেন দুই ব্যবসায়ী।

একজন কামরাঙ্গীরচরের আল আমিন। তিনি পেয়েছেন ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার। অন্যজন হবিগঞ্জের হার্ডওয়্যার ও স্যানিটারি পণ্য ব্যবসায়ী শওকত আলী। তিনি পেয়েছেন ১০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার।

২১ অক্টোবর কামরাঙ্গীরচরের আল আমিনের হাতে ক্যাশ ভাউচার তুলে দেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরে আলম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম, ওয়ালটনের ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর মীর মোহাম্মদ গোলাম ফারুক এবং আনন্দ ইলেকট্রনিক্সের স্বত্ত্বাধিকারী রহমতুল্লাহ রাফী পাঠানসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।

সাশ্রয়ী দামে সেরা মানের ফ্রিজ কিনে তারা সন্তুষ্ট তো ছিলেনই। তাদের আনন্দ আরো বহুগুণ বেড়ে গেছে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সাইমন সাদিকের হাত থেকে ওই ক্যাশ ভাউচার পেয়ে।

আল আমিন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘কামরাঙ্গীরচরের ‘আনন্দ ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ১৯৬ লিটারের একটি ওয়ালটন ফ্রিজ কিনি। এরপর রেজিস্ট্রেশন করলে মোবাইলে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার মেসেজ পাই। ওই টাকায় দুই বোনের জন্য দুটি ফ্রিজ কিনেছি।’

এর আগে ২০ অক্টোবর হবিগঞ্জে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শওকত আলীর হাতে ১০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার তুলে দেন নায়ক সাইমন সাদিক। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার, ‘টি আর ইলেকট্রোমার্ট’-এর স্বত্ত্বাধিকারী মোদারিছ আলী টেনু, ওয়ালটনের হোম অ্যাপ্লায়েন্স বিভাগের চিফ অপারেটিং অফিসার আতিকুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

শওকত আলী রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘পরিবারে ব্যবহারের জন্য একটি ওয়ালটন ফ্রিজ কিনি। এরপর রেজিস্ট্রেশন করলে ১০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার মেসেজ আসে মোবাইলে। যা দিয়ে ওয়ালটনের বিভিন্ন গৃহস্থালী পণ্য কিনেছি।’

চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক বলেন, ‘এক সময় আমরা ইলেকট্রনিক্স বাজারে গিয়ে বিদেশি পণ্য খুঁজতাম। কিন্তু এখন খুঁজি ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা ওয়ালটন পণ্য। কারণ দেশে তৈরি ওয়ালটনের পণ্য বিশ্বমানের। রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বহু দেশে। উচ্চমানের প্রযুক্তিপণ্য দিয়ে ওয়ালটন বহিঃর্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। ফলে দেশের মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। বাড়ছে বৈদেশিক আয়। আমি নিজেও ওয়ালটনের ফ্রিজ-টিভি ব্যবহার করি। ওয়ালটনের প্রতি সেই ভালোলাগা থেকেই তাদের ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে যুক্ত হয়েছি।’

 

 

হবিগঞ্জের শওকত আলীর হাতে ক্যাশ ভাউচার তুলে দিচ্ছেন নায়ক সাইমন সাদিক এবং ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকারসহ অন্যরা

 

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশের ঘরে ঘরে ওয়ালটন পণ্য। তাই বলা যায় বাংলাদেশের সব মানুষ ওয়ালটন পরিবারের সদস্য। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি সারা বিশ্বে বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটন পণ্য ছড়িয়ে দিতে ব্যাপকভাবে কাজ চলছে।’

উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এর মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও গ্রাহক দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে সহজেই কাঙ্ক্ষিত সেবা নিতে পারছেন।

বর্তমানে চলছে ক্যাম্পেইনের সিজন ৫। এর আওতায় ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে ফ্রিজ বিক্রিতে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচারসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাকের সুযোগ দেয়া হচ্ছে।

বর্তমানে বাজারে রয়েছে ওয়ালটনের দেড় শতাধিক মডেল ও ডিজাইনের ডিরেক্ট কুল বা ফস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার। এসব ফ্রিজের দাম ১০ হাজার টাকা থেকে ৬৯,৯০০ টাকার মধ্যে। নগদ মূল্যের পাশাপাশি কিস্তিতে কেনারও সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ঘরে বসে অনলাইনে ইপ্লাজা.ওয়ালটনবিডি.কম () থেকে ফ্রিজসহ সব ধরনের ওয়ালটন পণ্য কেনা যাচ্ছে। কিস্তি এবং অনলাইনে কেনা ফ্রিজেও ক্যাশ ভাউচার এবং ক্যাশব্যাকের সুযোগ রয়েছে।

এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭০টিরও বেশি সার্ভিস পয়েন্ট।

উল্লেখ্য, এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিংয়ে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরে রয়েছে বিএসটিআই সনদ। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট।

উৎপাদনের পর বাংলাদেশ এক্রিডিয়েশন বোর্ড (বিএবি) অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত-ইউটিএইচ ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে প্রতিটি ওয়ালটন ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হয়। ঢাকা/এম মাহফুজুর রহমান/জেনিস