অর্থনীতি

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ভাগ্য খুলে গেল চট্টগ্রামের লাকির

দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে ভাগ্য খুলে গেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার মদুনাঘাট এলাকার গৃহবধূ লাকি আক্তারের।

ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৫ এর ২০০% ক্যাশব্যাক অফারে গৃহবধূ জিতে নিয়েছেন ১০০% ক্যাশব্যাগ অফার। পুরস্কার জিতে অভিভূত লাকি আক্তার জানালেন এই পুরস্কার অবিশ্বাস্য। ফ্রিজ কিনে শতভাগ ক্যাশ ব্যাক পাওয়া যায় কখনো চিন্তাই করেননি তিনি।  কিন্তু ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করে অবিশ্বাস্য সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছেন লাকি।

গত বুধবার চট্টগ্রামের কালুরঘাটস্থ লাবিব মার্কেটিং কার্যালয়ে সৌভাগ্যবান লাকি আক্তারের হাতে ১০০% ক্যাশব্যাকের পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।  লাবিব মার্কেটিং কোম্পানির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মোহরা ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মোহাম্মদ আজম।

অতিথি ছিলেন ইউসিবিএল ব্যাংক এর কামালবাজার শাখার ব্যবস্থাপক ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী, ভ্যাট কর্মকর্তা রাহুল তালুকদার, লাবিব মার্কেটিং কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এরশাদ হোসেন, হিসাব কর্মকর্তা সুমিত বড়ুয়া, এক্সিকিউটিভ আরফাত হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে লাবিব মার্কেটিং কোম্পানির চেয়ারম্যান আলহাজ শাখাওয়াত হেসেন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজমসহ অতিথিরা লাকি আকতারের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

লাকি আকতার জানান, তিনি সব সময় ওয়ালটনের পণ্যের ওপর আস্থা রাখেন। তার বাসায় আগে থেকেই ওয়ালটনের এলইডি টেলিভিশন, হোম অ‌্যাপ্লায়েন্সের বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। বাসার প্রয়োজনে এবার তিনি ওয়ালটন থেকে একটি ফ্রিজ কিনেছিলেন।  কিন্তু ফ্রিজ কিনে ১০০% ক্যাশ ব্যাক পাবেন এই চিন্তা কখনো মাথায় আসেনি।  ফ্রিজ কেনার পর ক্যাশ মেমোর জন্য যখন নাম ফোন নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হলো তখন তিনি ১০০% ক্যাশ ব্যাক পাওয়ার ম্যাসেজ পেয়ে যান।  এতে তিনি অভিভূত।

লাকি বলেন, আমি সত্যি বিস্মিত।  ওয়ালটনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। শুধু পুরস্কারের জন্য নয়, ওয়ালটন পণ্যের গুণগত মান, সৌন্দর্য আর বিক্রয় পরবর্তী সহজ সেবার জন্যই সবার উচিত দেশীয় পণ্য ওয়ালটনের ওপর আস্থা রাখা।

পুরস্কার প্রদান করে লাবিব মার্কেটিং কোম্পানির চেয়ারম্যান আলহাজ শাখাওয়াত হেসেন বলেন, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় ফ্রিজে ১০০% ক্যাশ ভাউচার বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দিতে পেরে আমি অভিভূত।  ইলেকট্রনিক্স, আইটি কিংবা হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ওপর শতভাগ আস্থা রাখা যায়।

শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশি হিসেবে আমাদের সবারই দেশে তৈরি পণ্যে আস্থা রাখা উচিত। এতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশ আরও এগিয়ে যাবে।

প্রধান অতিথি কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম বলেন, ওয়ালটন বাংলাদেশের ব্র্যান্ড। উদ্যোক্তারা এ মাটির সন্তান। পণ্যও তৈরি হয় বাংলাদেশেই। কারখানায় কাজও করেন বাংলাদেশিরা। এ দেশের উদ্যোক্তারা উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদন করতে পারেন, বাজারের সিংহভাগ দখল করতে পারেন, তা প্রমাণ করেছে ওয়ালটন।

ইউসিবিএল এর ম্যানেজার ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, দেশীয় পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের অনেকগুলো বাজারে তাদের পণ্যের বাজার বিস্তৃত করেছে যা বাংলাদেশের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। এই কোম্পানির অগ্রযাত্রা মানে এই দেশেরই অগ্রযাত্রা। তাই সকলের উচিত দেশীয় কোম্পানির পণ্য ক্রয় করে দেশের মুদ্রা দেশে রাখা। চট্টগ্রাম/রেজাউল/সাইফ