অর্থনীতি

‘জাতির পিতাকে স্মরণে সব ক্ষেত্রে থিম থাকা উচিত’

জাতির পিতাকে স্মরণ করার জন্য প্রতিটি জায়গায় একটি করে থিম থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের (এমটিবি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী।

সোমবার রাজধানীর বাংলামোটরের এমটিবি টাওয়ারে ‘ব্যাংকিং মিউজিয়াম, স্বাধীনতা যুদ্ধের টেরাকোটা ও মুজিব শতবর্ষ’ নিয়ে প্রকাশ করা ক্যালেন্ডারের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলাদেশ হতো না। বাংলাদেশ না হলে আমি একটি চাকরি করতাম। সেই চাকরি থেকে একদিন রিটায়ার্ড করে ফেলতাম। আমি প্রতিটি দিন কৃতজ্ঞতা জানাই জাতির পিতাকে। উনার জন্য আজকে আমাদের এতো মানুষের চাকরি হয়েছে।’

বেসরকারি খাতের এই মিচ‌্যুয়াল ট্রাস্ট ব‌্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম‌্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বলেন, ‘আমরা আজ ব্যাংকিং মিউজিয়াম, স্বাধীনতা যুদ্ধের টেরাকোটা ও মুজিব শতবর্ষ নিয়ে ২০২০ সালের ক্যালেন্ডার তৈরি করেছি। আমি মনে করি, প্রত্যেক ব্যাংকেরই এসব কাজ করা উচিত। আমাদের বাঙালিদের চরিত্রেই আছে, ইতিহাসটা মনে রাখি না বা মনে রাখতে চাই না।

এমটিবির চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘যদি পাকিস্তান থাকতোম, কেউ চাকরি পেতেন না। আমি ব্যবসা করতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধু ইজ অ্যাভাব পলিটিক্স। মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে কী কেউ সমালোচনা করে? মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে নিয়ে কী কেউ সমালোচনা করে? কিন্তু আমরা এমন একটা জাতি, যারা সমালোচনা করতে ভালোবাসি। কয়েকজন ব্যক্তি আছেন সমালোচনার ঊর্ধ্বে। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। ইজ নট অ্যা কোয়েশ্চেন অব পার্টি। ইজ কোয়েশ্চেন অব হি (শেখ মুজিবুর রহমান) ইজ আওয়ার ফাদার অব দ্য নেশন। জাতির পিতাকে স্মরণ করার জন্য প্রতিটি জায়গায় আমাদের একটি থিম থাকা উচিত। আমরা সেই চেষ্টাটাই করেছি। বঙ্গবন্ধু সাংঘাতিক প্রাউড পারসন ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে এটা আমাদের সামান্য প্রচেষ্টা।’

ব্যাংকিং খাতের গুরুত্ব সর্ম্পকে তিনি বলেন, ব্যাংক একটি জাতির মেরুদণ্ড। যে দেশের ব্যাংকিং সিস্টেম যত শক্তিশালী, সে দেশের অর্থনীতিও তত শক্তিশালী। ব্যাংকিং সেক্টর ভালো না থাকলে অর্থনীতি ভালো করতে পারবে না-এটা খুবই স্বাভাবিক। সেজন্য যে কোনো গর্ভমেন্ট ব্যাংকিং সেক্টরকে কন্ট্রোল করে যেকোনো রিজিয়নের জন্য।

সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বলেন, সবকিছুই কিন্তু ব্যাংকিং খাতের ওপর চলে। ব্যাংকিং খাত ক্রেডিট দেয়, টাকা রিসিভ করে, ইন্টারেস্ট দেয়, যারা রিটায়ার্ড করেন তাদের একটা সুবিধা দেয়। ইনভেস্ট করে, কর্মসংস্থান হয়। বিরাট একটা অংক ইকোনোমিতে থাকে।

তিনি বলেন, ‘আমার এখনো মনে আছে, ব্যাংকিং সেক্টরের গ্রো টা হয়েছে পাকিস্তান আমলে। বাঙালিদের ঢুকতেই দেওয়া হতো না। অনেক আন্দোলন করায় দুটো ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হলো।  ইস্টার্ন ব্যাংকিং করপোরেশন ও ইস্টার্ন মার্চেন্ট করপোরেশন। ইস্টার্ন মার্চেন্টই এখন মার্কেন্টাইল ব্যাংক। একটি জহুরুল ইসলামের। আরেকটি একে খানের। এই প্রথম বাঙালিরা ব্যাংকিং সেক্টরে আসলো। ’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনিস এ খান, নতুন এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার প্রমুখ।

 

ঢাকা/হাসান/সাজেদ