অর্থনীতি

সাড়ে ৪ লাখ টন সার আমদানি

দেশের কৃষিখাতের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সৌদি আরবের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় দেশটি থেকে চার লাখ ৫০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৩৭৯ কোটি ৫১ লাখ ৪২ হাজার টাকা।

রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরবের মা’আদেন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)’র মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ক্রয় প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।

ফসল উৎপাদনে ডাই-অ্যামোনিয়া ফসফেট (ডিএপি) সার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। বাংলাদেশে ডিএপি সারের বাৎসরিক চাহিদা প্রায় ৯ লাখ মেট্রিক টন। এরমধ্যে বিএডিসি রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করে। চাহিদার অবশিষ্ট ডিএপি সার বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা হয়। সার আমদানির বিষয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন রয়েছে।

বিএডিসি ও মা’আদেন এর মধ্যে ২০১৯ সালে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তসমূহ অভিন্ন রেখে ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা হয়। উক্ত চুক্তির আওতায় বিএডিসি মা’আদেন থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টনের ১৮টি লটে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করবে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সরাসরি ডিএপি সার ক্রয়ের জন্য মা’আদেন ও বিএডিসির মধ্যেকার চুক্তির আলোকেই সারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

মা’আদেনের সঙ্গে বিএডিসি সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী সারের আন্তর্জাতিক বাজার দর সংক্রান্ত দুটি প্রকাশনা আরগুস ফসফেট ও ফার্টিকন এ প্রকাশিত এফওবি দরের গড় থেকে ৫ মার্কিন ডলার বিয়োগ করে আমদানিতব্য সারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে দর অনুযায়ী গত ২২ জানুয়ারি তারিখে প্রতি মেট্রিক টনের দাম ৩৪৭ দশমিক ৭৯ ডলার ছিল। সে হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৫ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সা হিসেবে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৩২৯ কোটি ৫১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। অর্থ বিভাগের কাউন্টার গ্যারান্টির আওতায় সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে এ সার আমদানি করা হবে। ঢাকা/হাসনাত/জেনিস