অর্থনীতি

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজেট চায় ডিসিসিআই

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোণাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা নিয়ে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

সংগঠনটি বাজেটে করোনার নেতিবাচক অবস্থা থেকে উত্তরণে সহায়ক নীতিমালা ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় সরকার, সাধারণ জনগণ এবং বেসরকারিখাতে সে ধরনের নির্দেশনার দাবি জানিয়েছে।

বুধবার (২৫ মার্চ) ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ প্রস্তাবনাগুলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সদস্য (কর নীতি) মো. আলমগীর হোসেনের কাছে পেশ করেন।

প্রস্তাবে ১১টি বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।  এ সময় ডিসিসিআই সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রস্তাবনায় প্রগেসিভ হারে সব স্তর থেকে কর্পোরেট কর হার আগামী ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে পর্যায়ক্রমে ৫ শতাংশ, ৭ শতাংশ ও ১০ শতাংশ হারে হ্রাস করা, কর্পোরেট ডিভিডেন্ডের আয়ের ওপর ২০ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ কর নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়।  এছাড়া ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা এবং ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর সর্বনিম্ন হার ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে হ্রাস করার প্রস্তাব করেন।

এ বিষয়ে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, কর প্রক্রিয়া সহজ ও করের আওতা বৃদ্ধির জন্য সম্পূর্ণ অটোমেটেড অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।  ফলে দেশের কর দেওয়া ব্যবস্থা সহজ হবে এবং ব্যবসার পরিবেশ সূচক উন্নয়নে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

এছাড়াও এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বার্ষিক টার্নওভারের লিমিট ৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ কোটি টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব এবং পণ্যের ভ্যালু এডিশন বা মুনাফা অনুপাতে ৪ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করে ডিসিসিআই। এম এ রহমান/হাসিবুল/জেডআর