অর্থনীতি

গ্রামাঞ্চলের কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় এনে ক্ষতিপূরণের দাবি

গ্রামাঞ্চলের কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় এনে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি।

রোববার (০৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবিরের এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারি সাধারণ ছুটি আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।   কৃষিকে বিভিন্ন রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আবহাওয়ার প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে টিকে থাকতে হয়। জাতিকে ক্ষুধামুক্ত রাখতে এবং অপুষ্টি থেকে বাঁচাতে কৃষক ও কৃষির অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু বর্তমানে কৃষক তার পণ্য বিপণন করতে পারছে না। যার ছাপ পড়েছে কৃষক ও কৃষির ওপর, ফলে কৃষি উৎপাদিত ফসল (পেঁয়াজ, ভুট্টা, সকল প্রকার সবজি, ফল, দুধ, ডিম) এসব পানির দামে বিক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিভিত্তিক ফার্ম, শিল্প ও ব্যবসা বাণিজ্য। সামনে বোরো মৌসুমে ধানসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের দাম প্রাপ্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার বিকল্প নেই।

এ অবস্থায় আজ  সরকার ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তিনটি ভাগে এই প্যাকেজের টাকা স্বল্পসুদে ঋণ হিসেবে বিতরণ করা হবে বলে বলা হয়েছে। বিদ্যমান করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য মন্দা মোকাবিলায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এক্ষেত্রে শিল্প মালিক, ব্যবসায়ী (ক্ষুদ্র ও মাঝারি) সবাই এর আওতায় পড়বে।  কিন্তু এর আওতায় নেই কৃষকরা। কৃষিক্ষেত্রে যেটুকু ঘোষণায় এসেছে তাও কৃষি ব্যবসারীরা এই সুযোগ পাবেন।  অর্থাৎ পোল্ট্রি, মৎস্য খামার, ডেয়রির ক্ষেত্রে। গ্রামাঞ্চলের কৃষক যারা সরাসরি উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কিত বা যারা কৃষির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ভূমিহীন-দরিদ্র কৃষক তাদের কোনো রকম প্রণোদনার আওতায় আনা হয়নি। পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্য করোনাভাইরাসজনিত রোগ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা জরুরি প্রয়োজন। ধান কাটার মৌসুমের শুরু থেকে ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

তাদের দাবিগুলো হলো- গ্রামাঞ্চলে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধার ব্যবস্থা গ্রহণ ও ভূমিহীন-দরিদ্র কৃষকদের পর্যাপ্ত খাদ্য দেওয়া; ইরি-বোরো ফসল কাটার ব্যবস্থা করা; পেঁয়াজ, ভুট্টা, সব ধরনের সবজি, ফল ও ধানসহ অন্যান্য ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত ও ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া। ঢাকা/আসাদ/জেডআর