অর্থনীতি

খসড়া বিধিমালা নিয়ে ডিএসইকে লিগ্যাল নোটিশ ডিবিএ’র

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রণয়ন করা খসড়া ‘ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট’ বিধিমালা নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ‌্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।

রোববার (১২ এপ্রিল) ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সচিবসহ পরিচালনা পর্ষদকে ডিবিএর সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেনের পক্ষে অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএসইসি তথাকথিত খসড়া ‘ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট’ বিধিমালা জারির জন্য মন্তব্য চেয়ে ৪ মার্চ চিঠি দেয়, যা ডিএসই ৮ মার্চ পায়। কিন্তু ডিএসই খসড়া বিধিমালা সম্পর্কে অনাপত্তি বা সম্মতি জানিয়েছে। বিএসইসির উল্লিখিত খসড়া-বিধি বাস্তবায়নে পুরো শেয়ারবাজারে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে জেনেও ডিএসইর এই সম্মতি খুবই আশ্চর্যজনক।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ট্রেকের খসড়া বিধিমালার দফা ৩, ৪, ৫, ৬ এবং ৮ বিধিসম্মত না হওয়া সত্ত্বেও ডিএসই সম্মতি জানিয়েছে। এছাড়া বিএসইসির এ জাতীয় কোনও কাঠামো গঠনের অধিকার নেই। একইসঙ্গে বিএসইসির বর্ণিত খসড়া-বিধিগুলোর বিষয়বস্তু ও নতুন ট্রেক আবেদনকারীর জন্য ফি নির্ধারণ করা কেবল বিপর্যয়ের কাজ। এছাড়া বিএসইসির এ জাতীয় বিধি বিধানের মাধ্যমে ট্রেকহোল্ডার নির্বাচনের যোগ্যতা নির্ধারণের কোনো অধিকার নেই।

বিএসইসি আইনি এখতিয়ার ছাড়াই খসড়া-বিধি খসড়া তৈরি করেছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে কমিশন ফি, সিকিউরিটি ডিপোজিট এবং ট্রেক ইস্যুর সময় উল্লেখ করেছে। কিন্তু ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনে বিএসইসিকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। এসব নির্ধারিত হবে সংশ্লিষ্ট স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে এবং অনুমোদন করবে কমিশন।

এই পরিস্থিতিতে আগামী ৭ দিনের মধ্যে খসড়া ট্রেক বিধিমালা সম্পর্কে একটি প্রতিবাদ জানিয়ে কমিশনকে অবহিত করার জন্য লিগ্যাল নোটিশে অনুরোধ করা হয়েছে।

ডিএসই এই নোট পাঠাতে ব্যর্থ হলে, কৌশলগত বিনিয়োগকারীসহ সাধারণ সদস্যরা পর্ষদের সবাইকে বিতারিত করার জন্য বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করবে। ঢাকা/এনটি/জেডআর