‘করোনাভাইরাসের কারণে এক মাসের বেশি সময় ধরে দোকানপাট, শপিং মলসহ সব ধরনের বিপনি-বিতান বন্ধ আছে। জানি না কবে খুলবে। আশা নিয়ে বসেছিলাম ৫ মে পর মার্কেট খুলবে। কিন্তু সাধারণ ছুটি আরও ১০ দিন বাড়তে পারে। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে আমাদের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।’
এভাবেই হতাশার কথা বলছিলেন রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।
মহামারি করোনার সংক্রামণ রোধে গত ২৫ মার্চ থেকে সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে সরকার। কয়েক ধাপে সাধারণ ছুটি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে আবারও সাধারণ ছুটি বাড়ানোর খবরে শঙ্কার মধ্য দিয়ে দিন কাটছে পোশাক ব্যবসায়ীদের।
এদিকে বড় বড় ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ী নেতারা মনে করছেন, যদি আরও কিছুদিন লকডাউনের মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাহলে ৫০ শতাংশের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মার্কেটে টিকে থাকতে পারবেন না।
আজিজ সুপার মার্কেটের নীলা ফ্যাশনের সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, গত একমাসের ও বেশি সময় ধরে একদম বেকার অবস্থায় রয়েছি। বাসা ভাড়া দিতে পারছি না।
তিনি বলেন, সামনে ঈদ। এই ঈদের সময় আমাদের বেচাবিক্রি খুব ভালো হয়। এই মৌসুমটাই মূলত আমাদের ব্যবসার সময়। কিন্তু সেটা নিয়েও এখন আশঙ্কায় রয়েছি।
রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জুয়েল জানান, ঈদ উপলক্ষে কিছু পণ্য কিনেও রেখেছিলাম অনেক আগেই। আবার কিছু প্যান্ট, টি- শার্টের অর্ডার দিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এসব প্রস্তুতি বৃথা যাবে।
তিনি স্বল্প পরিসরেও হলেও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মার্কেট খুলে দেওয়া দাবি জানান সরকারের কাছে।
এ বিষয়ে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন রাইজিংবিডিকে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ২৫ মার্চ থেকে বাংলাদেশের সব দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরকারি ছুটির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বন্ধ রাখা হয়েছে। শুনেছি আবারো সাধারণ ছুটি বাড়বে। যদি সাধারণ ছুটির সঙ্গে শপিং মল ও মার্কেট বন্ধ থাকে তাহলে-তো সাধারণ ব্যবসায়ীদের দুঃখের শেষ থাকবে না।
তিনি বলেন, মার্কেট খোলার বিষয়ে গত ১ মে একটি চিঠি আমরা বাণিজ্য মন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। শনিবার খবর নিয়ে জানতে পারলাম সেই আবেদন নাকি টাস্কফোর্সের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষায় আছি সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য। এমন যদি চলতে থাকে আমাদের দেশের সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ ঝরে পড়বেন। কারণ এমন অনেকেই রয়েছেন যারা লোন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন। ঢাকা/ হাসিবুল/জেডআর