অর্থনীতি

টিসিবি’র আরও ১০০ ডিলার নিয়োগ

রমজানে সাধারণ ক্রেতাদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও একশ ডিলার নিয়োগ দিয়েছে।  নতুন নিয়োগ দেওয়া ডিলারদের মধ্যে বেশির ভাগই বিভিন্ন উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের।  এই নিয়ে দেশে বর্তমানে টিসিবি’র ডিলারের সংখ্যা তিন হাজার ২শ ছাড়িয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ২২ ডিলারের লাইসেন্স বাতিল ও জরিমানা করা হয়েছে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম ক্রেতাদের মধ‌্যে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পণ্য ডিলারদের মাধ্যমে বাজারজাত করে থাকে সরকারি সংস্থা টিসিবি।

টিসিবি’র মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, সাধারণ মানুষের মধ‌্যে ন্যায্যমূল্যে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য টিসিবি’র প্রচেষ্ট অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন স্থানে ৪শ’টির বেশি ট্রাকসেলও করা হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিলারদের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য নতুন ডিলার নিয়োগ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। গত মাস থেকে ৪ মে পর্যন্ত মোট একশ নতুন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

নতুন নিয়োগের পাশাপাশি বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ২২টি ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে।  আরও বেশ কয়েকটির বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।  দেশের বিদ্যমান অবস্থায় বিভিন্ন স্থানে টিসিবি’র পণ্য খোলা বাজারে বিক্রি ও গুদামজাত করার মতো সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।  সেগুলো আমরা মনিটরিং করছি।  এসব বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান টিসিবি’র মুখপাত্র।

নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলারের মধ্যে কুমিল্লায় ২০টি, বরিশালে ৬টি, নরসিংদীতে ১টি, চুয়াডাঙ্গায় ৩টি, ঝিনাইদহে ৩টি, ঢাকায় ১৩টি, গাজীপুরে ২টি, নারায়ণগঞ্জে ২টি, টাঙ্গাইলে ৯টি, মাদারীপুরে ৩টি, কুষ্টিয়ায় ২টি, পটুয়াখালিতে ১টি, পিরোজপুরে ১টি, ঝালকাঠিতে ২টি, বগুড়ায় ৮টি, রংপুরে ১৮টি, লালমনিরহাটে ২টি, জয়পুরহাটে ১টি, ঠাকুরগাঁয়ে ১টি, নাটোরে ১টি ও মুন্সিগঞ্জে ১টি প্রতিষ্ঠানকে দুই বছরের জন্য ডিলারশিপ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি টিসিবি একটি অফিস আদেশে বলা হয়েছে, চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের চলমান ৬ষ্ঠ কিস্তির বরাদ্দে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে ডিলারের কোনো অনিয়ম হলে প্রিন্ট অথবা ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় অনিয়ম সংক্রান্ত কোনো রিপোর্ট পাওয়া গেলে অথবা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভোক্তা অধিকার, র‌্যাব, পুলিশ বা স্থানীয় প্রশাসন বা কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো ডিলারের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ওই ডিলারকে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করে করণীয় বিষয়ে সুপারিশসহ প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করতে হবে। ঢাকা /হাসনাত/জেডআর