অর্থনীতি

বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

করোনা পরবর্তীতে চীন থেকে অনেক বিদেশি বিনিয়োগ অন্যদেশে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিনিয়োগকারীরা। বিশেষ করে জাপান, কানাডা এবং আমেরিকার অনেক বিনিয়োগকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। এ অবস্থায় বিদেশি এসব বিনিয়োগ যাতে বাংলাদেশে আনা যার তার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

বুধবার (২০ মে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ‘বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটির’ ৭ম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনলাইন বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।  এসময় অনলাইনে সংযুক্ত থেকে আলোচনায় অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, এফবিসিসিআই’র সাবেক চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এনবিআর চেয়ারম্যান, বিডা ও বেজা’র নির্বাহী পরিচালক, হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিজিএমইএ সভাপতি প্রমুখ।

বৈঠকে করোনা পরিস্থিতিতে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আলোচকরা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে আগে নিজেদের মানসিকতা পরিবর্তনের ওপর জোর দেন।

তারা বলেন, আমাদের দেশে বিনিয়োগের জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ অনেক বেড়েছে। জনশক্তি সমৃদ্ধ একটি দেশে আমরা কেন বিদেশি বিনিয়োগ পাবো না।

বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পরিবর্তীত বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশ যেসব সুযোগ সুবিধা ঘোষণা করবে তা তাদের কাছে পৌঁছাতে হবে।  বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে খুব শিগগির একটি নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। ঈদের পরেই সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের দুটি খাত ভালোভাবেই চলছিল। একটি হলো রপ্তানি, অপরটি রেমিট্যান্স। বাংলাদেশে যারা তৈরি পোশাক খাতে অর্ডার করেছিল ইতোমধ্যে তাদের অনুরোধ করা হয়েছে তারা যাতে অর্ডার বাতিল না করে। এজন্য বাংলাদেশ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং প্রতিশ্রুতিও পাওয়া গেছে।

শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগের বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করছে।  নতুন করে বিশ্ব পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগকরীদের আকৃষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। 

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, দেশে আকষর্ণীয় বিনিয়োগের সুযোগ সুবিধা দেওয়া গেলে জাপান ও আমেরিকার যেসব বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রিলোকেট করতে চাইছে তাদের দৃষ্টি আকষর্ণ করা যাবে।  

 

ঢাকা/ হাসনাত/জেডআর