অর্থনীতি

জরিমানা ছাড়া ২৯ জুন পর্যন্ত রিটার্ন দাখিলের সুযোগ

যেসব ব্যক্তি শ্রেণির করদাতা ও কোম্পানি করদাতা এখনো রিটার্ন দাখিল করতে পারেনি, তাদের সুযোগ দিয়েছে সরকার।

আগামী ২৯ জুন পর্যন্ত জরিমানা ও সুদ ছাড়াই রিটার্ন দাখিল করতে পারবে তারা। মূলত করোনার কারণে এ সুযোগ দিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

সোমবার (১ জুন) এনবিআর সদস্য (করনীতি) মো. আলমগীর হোসেন সই করা অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ১৮৪জি ক্ষমতাবলে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। সময় বাড়াতে এনবিআরকে ক্ষমতা দিয়ে ২০ মে অধ্যাদেশ সংশোধন করা হয়।

আদেশে বলা হয়, ‘সব শ্রেণির করদাতা এবং উৎসে কর কর্তনকারী কর্তৃপক্ষের জন্য আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪, আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এবং অফিস প্রণালীর অধীন যাবতীয় সময়ানুগ কার্যক্রম পরিপালনের সর্বশেষ সময়সীমা যেসব ক্ষেত্রে ২৬ মার্চ হতে ৩০ মে পর্যন্ত সময়কাল প্রমারজন পূর্বক পরিপালনের সময়সীমা ২৯ জুন পর‌্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।’

আদেশে বলা হয়, প্রমার্জিত সময়কালের জন্য কোন ধরনের সুদ কিংবা জরিমানা প্রযোজ্য হবে না।

এনবিআর সূত্রমতে, ৩০ নভেম্বর ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর রিটার্ন জমার শেষ দিন।  ওই দিন যেসব করদাতা বিভিন্ন কারণে রিটার্ন দাখিল করতে পারেননি তারা দুমাস অর্থা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় নিয়েছিল। আবার অনেক করদাতা সার্কেল অফিসারের কাছে আবেদন করে আরো দুই মাস অর্থাৎ ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করে নিয়েছে। এর মধ্যে দেশে করোনার প্রার্দুভাব শুরু হয়।

৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়।  ফলে ২৬ মার্চ থেকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।  যা কয়েক দফায় বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ২৯ জুন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের রিটার্ন দাখিলে জরিমানা ও সুদ দিতে হবে না।

অপরদিকে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি মাসে রিটার্ন জমা দেয়।  তাতে কর্মীদের প্রতি মাসে কত বেতন দেয় এবং তা থেকে কি পরিমাণ ট্যাক্স কাটে তা উল্লেখ করে। লকডাউনের কারণে অনেক কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান সময়মতো রিটার্ন দাখিল করতে পারেনি।  এ সুযোগ দেওয়ায় জরিমানা ছাড়াই রিটার্ন দাখিল করতে পারবে।

আদেশে আয়কর অফিসের জন্য বলা হয়েছে, ‘আয়কর কর্তৃপক্ষ, কর আপীলাত ট্রাইব্যুনাল এবং বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কার্যক্রমের জন্য আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪, আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এবং অফিস প্রণালীর অধীন যাবতীয় সময়ানুগ কার‌্যক্রম পরিপালনের সর্বশেষ সময়সীমা যেসব ক্ষেত্রে ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে’র মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে সেসব ক্ষেত্রে প্রমারজন পূর্বক পরিপালনের সময়সীমা ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।’ এম এ রহমান/সাইফ